প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিমধ্যেই দুই দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রাত পোহালেই তৃতীয় দফার নির্বাচন। কিন্তু তার আগে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদারের উপর আক্রমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির।

আর এবার ফলতার বিজেপি প্রার্থীর ওপর আক্রমণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। যেখানে বিজেপি প্রার্থী বিধান পাড়ুইকে রাস্তায় ফেলে চর, লাথি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিধান পাড়ুইকে। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।

জানা গেছে, রবিবার মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারাস্তা- পাইকান এলাকায় প্রচার করতে গিয়েছিলেন ফলতার বিজেপি প্রার্থী বিধান পাড়ুই। আর সেই সময় বেশ কিছু দুষ্কৃতী লাঠি এবং বাশ নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি প্রার্থীকে মাটিতে ফেলে লাগাতার মারতে শুরু করেন দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও এই ঘটনায় বিজেপির 5 জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরা সাথে সাথেই তাকে উদ্ধার করে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডায়মন্ডহারবার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় হেভিওয়েট এই বিজেপি প্রার্থীকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে। যেখানে মূল অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এদিন এই প্রসঙ্গে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী বিধান পাড়ুই বলেন, “ফলতার যুব তৃনমূলের সভাপতি জাহাঙ্গীর খানের অনুগামীরা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে‌। তৃণমূল চাইছে, মারধর করে বিরোধী কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখতে। কিন্তু প্রচারে গিয়ে মানুষের সমর্থন দেখে বুঝেছি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের মানুষ মেনে নিতে পারছে না। আমার ওপর হামলা চালানোর কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করি, তারা ব্যবস্থা নেবে।”

স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে শাসক দল। যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়া সহ প্রার্থীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠছে, তাতে ঘাসফুল শিবিরের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কমিশনের কাছে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে অভিযোগ করার পর কি পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।