এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালি কান্ডে বড় নির্দেশ আদালতের, মুখ পুড়ল মমতা পুলিশের ! সোচ্চার বিজেপি !

সন্দেশখালি কান্ডে বড় নির্দেশ আদালতের, মুখ পুড়ল মমতা পুলিশের ! সোচ্চার বিজেপি !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন এতটাই দলদাস হয়ে গিয়েছে যে, তাদের লজ্জা এবং কাণ্ডজ্ঞান বলে কিছু নেই। তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলা হল। আর পুলিশ অভিযুক্তকে না ধরে এখন আদালতে গিয়ে দাবি করছে যে, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সত্যিই কি আশ্চর্য, কি বিচিত্র এই প্রশাসন! যেখানে অপরাধীরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদেরকে গায়েব করে রাখা হয়েছে, অথচ যারা তদন্ত করছে, যারা মানুষের হয়ে কথা বলছেন, তাদের কন্ঠরও করার চেষ্টা হচ্ছে এই প্রশাসনের দ্বারা। তবে রাজ্যে আইন, আদালত বলে কিছু একটা রয়েছে। বারবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেই আদালতে মুখ পুড়ছে রাজ্যের। আর এবার সন্দেশখালি কাণ্ডে আদালতের নির্দেশের পর রীতিমতো চাপে পড়ে গেল এই রাজ্যের দলদাস পুলিশ। এদিন আদালতের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারপর পুলিশ বাবাজীবনরা ঢোক গিলতে শুরু করেছে। ইডিকে চাপে ফেলতে গিয়ে তারা নিজেরাই ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু কি বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট?

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। উল্টে পুলিশের পক্ষ থেকে ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু এবার আদালতে এই ব্যাপারে চরম হোঁচট খেলো প্রশাসন। যেখানে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। শুধু তাই নয়, আগামী মার্চ মাসের 31 তারিখ পর্যন্ত এফআইআরের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অনেকে বলছেন, লজ্জা থাকলে এই কাজ করতে পারত না পুলিশ। কিন্তু লজ্জার মাথা খেয়ে তারা দলদাস হয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চাপে ফেলতে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। কিন্তু সেখানেও তারা যেভাবে ধাক্কা খেল, তাতে এই প্রশাসন সব সীমা অতিক্রম করেছে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যাদের ওপর হামলা হলো, তাদের বিরুদ্ধেই কিনা এফআইআর! তবে আদালত ইচ্ছেমতো পুলিশকে শিক্ষা দিয়েছে। সব যে তাদের খেয়ালখুশি মত চলবে না, এটা বুঝিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার আসল খেলা শুরু হবে। দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না। সবাইকে জেলে যেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, এই রাজ্যে সব সময় চলে শাসকের আইন। আইনের শাসন রাজ্যে ভেস্তে দিতে চায় এই পুলিশ এবং ফ্যাসিস্ট সরকার। তা না হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে গিয়ে যে হামলার শিকার হলো, তারপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নিতে হত পুলিশকে। কিন্তু তা না করে তারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে। তবে সব অন্যায় যে মেনে নেওয়া হবে না, এবার তা বুঝিয়ে দিয়ে পুলিশের মুখে ঝামা ঘষে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরও একবার বিচারব্যবস্থার কাছে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় খেলো এই দলদাস মমতা পুলিশ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!