এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিল কেন্দ্র, বিনামূল্যে টিকার ঘোষণা করে মাস্টারস্ট্রোক মোদীর!

রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিল কেন্দ্র, বিনামূল্যে টিকার ঘোষণা করে মাস্টারস্ট্রোক মোদীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ মিলিয়ে যাওয়ার পরেই দ্বিতীয় ঢেউ প্রবেশ করতে শুরু করে। বহু মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করেন। একের পর এক মৃত্যু রীতিমত প্রশ্ন তৈরি করে গোটা দেশজুড়ে। কেন আগেভাগে ভ্যাকসিনের ওপর জোর দেওয়া হল না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের পক্ষ থেকে দ্রুত তাদের নিজেদের মত করে ভ্যাকসিন দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হোক বলে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়‌। সেই মত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করে 25 শতাংশ ভ্যাকসিন যাতে রাজ্য সাধারণ মানুষকে দিতে পারে, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

সেই মত করে দ্বিতীয় ঢেউকে সম্পূর্ণরূপে বিলীন করবার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য ভ্যাকসিনের উপর জোর দিতে শুরু করেছে। তবে মাঝেমধ্যেই রাজ্য বনাম কেন্দ্রের দড়ি টানাটানি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আর এর মধ্যেই আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। সেই মত করে দ্বিতীয় ঢেউ যখন ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে, তখন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে কি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। অবশেষে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা খর্ব করে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে 18 বছরের উর্ধ্বে সকলকে বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সূত্রের খবর, সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই এই ব্যাপারে বড় ঘোষণা করেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যগুলো প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। পরবর্তীতে তারা নিজেদের ভাবনা পরিবর্তন করে। আজ রাজ্যগুলোর কাছে টিকাকরণের যে 25 শতাংশ কাজ দেওয়া হয়েছিল, সেই কাজ এবার থেকে কেন্দ্র সামাল দেবে। আগামী 21 জুন সোমবার থেকে 18 বছরের উর্ধ্বে সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যগুলোকে দেবে। দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।”

অর্থাৎ এতদিন ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র বনাম বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরজা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আর এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিল। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, ভ্যাকসিন যদি ঠিকমত দেশের মানুষকে দেওয়া না যায়, তাহলে করোনা আটকানো সত্যিই সম্ভব নয়। তাই সেদিক থেকে দ্বিতীয় ঢেউ আসার অনেক আগে থেকেই প্রথম ঢেউ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশবাসীর মধ্যে দেওয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রাথমিক পর্বের মধ্যেই ভারতবর্ষে আছড়ে পড়ে দ্বিতীয় ঢেউ। যা কোনোমতেই আটকানো সম্ভব হচ্ছিল না।

আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলোর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করে তাদের কাছেও যাতে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য টিকাকরণ পৌঁছে দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়। সেই মত করে কেন্দ্র পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এবার সরাসরি কাজ আরও দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য 18 বছরের উর্ধ্বে সকলকে আগামী 21 তারিখ থেকে কেন্দ্র যে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে, তা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

অর্থাৎ দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে এখন বিনামূল্যে 18 বছরের উর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তা এককথায় পরিষ্কার। ফলে কেন্দ্র যদি এই উদ্যোগ নেয়, তাহলে রাজ্যগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের দড়ি টানাটানি যেমন বন্ধ হবে, ঠিক তেমনই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজের তৎপরতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!