এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এক বছরেই টার্গেট পূরণ, কর্মসংস্থান নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর! উচ্ছ্বাস রাজ্যে!

এক বছরেই টার্গেট পূরণ, কর্মসংস্থান নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর! উচ্ছ্বাস রাজ্যে!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল সরকারের আমলে একদিকে চুরি, দুর্নীতি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক তেমনই বাড়ছে বেকারদের সংখ্যা। রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ নেই বললেই চলে। কার্যত শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করেছে এই সরকার। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রবণতা যেভাবে রাজ্যে শুরু হয়েছে, যেভাবে নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন, তাতে এই রাজ্যের হৃতগৌরব আর পুনরুদ্ধার হবে কিনা, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। আর এসবের মাঝেই চমকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন প্রকাশ্য সভা থেকে শূন্যপদ পূরণ নিয়ে যে কথা বললেন, তাতে ব্যাপক উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে। কিন্তু কি এমন বললেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক?

প্রসঙ্গত, এদিন একটি সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বাংলার শূন্যপদ পূরণ নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন। এক বছরের মধ্যে আমরা সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করে দেব। শিল্প বান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে রাজ্যে।” অনেকে বলছেন, বিরোধী নেত্রী থাকার সময় এইরকম অনেক চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যে সবথেকে বেশি বেকার তৈরি হয়েছে। টাকার বিনিময় চাকরি বিক্রি হয়েছে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই কথার গ্যারান্টি কি করে নেবেন সাধারণ মানুষ?

একাংশের মতে, এই রাজ্যের যা সর্বনাশ হওয়ার তা করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। তাই এর থেকে বেশি আর সর্বনাশ হওয়ার মত কিছু নেই। ফলে শুভেন্দু অধিকারী আশার আলো দেখাচ্ছেন। তাই তার ওপর ভরসা করাই যায়। যে পরিমাণ ক্ষত তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে এই রাজ্যে তৈরি হয়েছে, তার থেকে পরিত্রাণের জন্য শুভেন্দু অধিকারী যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তাতে ভরসা রেখে যদি রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেন, তাহলে বিকল্প কিছু পেলেও পেতে পারেন। তাই তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে যখন আর কিছু পাওয়ার নেই, তারা যখন শুধু খারাপটাই দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে, তখন বিজেপিকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখা যেতে পারে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে শূন্যপদ পূরন তো অনেক দূরের কথা। যে সমস্ত চাকরি দেওয়া হয়েছে, তা টাকার বিনিময়ে দিয়েছে এই সরকার। যার ফলে আজকে বেকার যুবক যুবতীদের চোখ দিয়ে জল পড়ছে। তারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে এই রাজ্যটা। বাংলার মানুষ বিকল্পের সন্ধানে রয়েছে। তাই বিজেপি ক্ষমতায় এলে সুদিন ফিরতে পারে। স্বভাবতই এই ফ্যাসিস্ট তোলামূল পার্টিকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে যখন চাকরিতে ভাটা, যখন শূন্যপদ নিয়োগের মত ক্ষমতা নেই এই সরকারের, তখন শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য কিছুটা হলেও আশার আলো যোগাচ্ছে বেকারদের মধ্যে। তারা মনে করছেন যে, এবার পরিবর্তনটা দরকার। যদি কিছু হলেও তাদের জীবনে খুশির বন্যা আনতে পারে বিজেপি, তাহলে তারা অনেকটাই উপকৃত হবেন। তাই বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। আসলে কাজের ইচ্ছে থাকলে এবং চাকরি দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেই তা করতে পারে সরকার। কিন্তু সেই ইচ্ছেটুকুও নেই এই তৃণমূলের মধ্যে। তাই ক্ষমতায় এলে যে সেই ইচ্ছে প্রয়োগ করে বেকারদের মুখে হাসি ফোটাবে বিজেপি, এই সম্ভাবনা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিশ্রুতির পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!