এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নজিরবিহীন! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিদীর্ণ বাংলার রাশ নিজেদের হাতে নিতে একদিনে ৩ পদক্ষেপ মোদী-শাহের!

নজিরবিহীন! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিদীর্ণ বাংলার রাশ নিজেদের হাতে নিতে একদিনে ৩ পদক্ষেপ মোদী-শাহের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হাতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তারপরই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে এবার একদিনে তিন তিনটি বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক পদে বদল আনা হল, অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বিরোধী কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে কলকাতা ছেড়ে মধ্যপ্রদেশে থাকার বার্তা দেওয়া হল। আর দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশকে বর্তমানে পশ্চিমবাংলায় ঘাঁটি গাড়ার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় বিজেপি।

স্বভাবতই একদিনে এইরকম তিন বড় পদক্ষেপ নেওয়ার পেছনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি বাংলা দেখভাল করবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসেবে নিযুক্ত করা হল অমিতাভ চক্রবর্তীকে। অন্যদিকে সেই পদ থেকে সরিয়ে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে আবার সঙ্ঘে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সুব্রতবাবু রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে তাকে নিয়ে দলের একাংশের তীব্র বিরোধ তৈরি হয়েছিল। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে যাতে সেই সুব্রতবাবুকে নিয়ে সমস্যা না বাড়ে, তার জন্য তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় বিজেপি।

এদিকে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরানোর পাশাপাশি এতদিন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে কৈলাসবাবুকে বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জায়গায় পশ্চিমবাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের উপর। তাকে বলা হয়েছে যে, তিনি যেন বর্তমানে কলকাতাতেই বেশিরভাগ সময় থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনের যে সমস্যা রয়েছে, তা সামলানোর জন্য তাকে বার্তা দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, বিজেপিতে মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষ দুই গোষ্ঠীর লড়াই চরম আকার ধারণ করেছে। সেদিক থেকে দিলীপবাবুর ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একশ্রেণীর আপত্তি থাকলে তাকে যেমন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় বিজেপি, ঠিক তেমনই মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও মধ্যপ্রদেশে বেশি সময় দেওয়ার কথা বলে সেখানে নতুন মুখ হিসেবে শিবপ্রকাশকে নিয়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে চাইল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব বলে মত একাংশের।

অনেকে বলছেন, পশ্চিমবাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চাইলেও, তাদের প্রধান কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে তাদের গোষ্ঠী কোন্দল। উপরতলা থেকে শুরু করে নীচুতলার প্রতিটি জায়গায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে রদবদল ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চেষ্টা করলেন সেই দ্বন্দ্ব বন্ধ করার। যেখানে দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে যেমন সরানো হল, ঠিক তেমনই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবাংলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হল শিবপ্রকাশকে। সব মিলিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভালো ফল করতে বাংলায় ব্যাপক রদবদল অনুষ্ঠিত করল। তবে এই রদবদলের ফলে বিজেপি বাংলার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কতটা সফল হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!