এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে আটকাতে কৌশলী মমতা, আজই ফয়সালা হাইকোর্টে! আশায় শুভেন্দু!

বিজেপিকে আটকাতে কৌশলী মমতা, আজই ফয়সালা হাইকোর্টে! আশায় শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বারবার আদালতে কানমোলা খাওয়ার পরেও শিক্ষা হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের। পুলিশকে দিয়ে সব জায়গায় বিজেপিকে আটকানো যেন হ্যাবিট হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। ধর্মতলায় বিজেপি বঞ্চিতদের নিয়ে সভা করবে। সেখানেও অসভ্যতা শুরু করেছে এই রাজ্যের পুলিশ। সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার তারা ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাতে বিজেপি সভা করতে না পারে, তার জন্য নানা কারণ দেখাবে। কিন্তু ধর্মতলায় যেখানে তৃণমূল একুশে জুলাইয়ের সভা করে রাস্তা আটকে, সেটা তো তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। একটি গণতান্ত্রিক রাজ্যে তো সবাই তাদের সভা করতে পারে। তাই সেই দাবি নিয়ে পাল্টা নিজেদের যুক্তি আজ আদালতে জানাবে গেরুয়া শিবির। আজই ডিভিশন বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি এই ব্যাপারে কোনো একটা নির্দেশ দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তার আগেই ধর্মতলায় বিজেপির এই সভা নিয়ে আশা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই ব্যাপারে কোনো একটা নির্দেশ আসবে। আমরা আশা করছি যে, সেখানে বিজেপি সভা করতে পারবে। কারণ সেটা তৃণমূলের জায়গা নয়। আমরা ইতিমধ্যেই সভা সমিতির মধ্যে দিয়ে এই কলকাতা চলোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী সভা করার ব্যাপারে এবং সেই অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে এতটা নিশ্চিত, তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ, তারা তো কোন অন্যায় দাবি এই প্রশাসনের কাছে করেনি বা আদালতের কাছে তারা এমনি এমনি যায়নি। কারণ এই প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, তারা শুধু তৃণমূল বাদে আর কাউকে সভা করতে দেবে না। তাই এই নির্লজ্জ প্রশাসনকে জবাব দেওয়াটা দরকার। যার কারণে ভরসার জায়গা হিসেবে বিরোধী দলের একমাত্র মাধ্যম বিচারালয়। তাই শুভেন্দু অধিকারীও আশা করছেন যে, তারা যেহেতু কোনো দাবি করেননি, তাই বিচারালয় তাদের এই সভা করার ব্যাপারে অনুমতি দেবে।

এদিকে ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে আশায় আলো বাধছে গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, ধর্মতলা বা এই রাজ্যটা তৃণমূলের কেনা পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। তাই সেখানে অন্য কোনো কর্মসূচি না থাকলে বিরোধীরা যদি কর্মসূচি করতে যায়, তাহলে তাদেরকে তো অনুমতি দিতে হবে। এমনি এমনি তো বিরোধীরা আদালতে যায়নি। সঠিক বিচার পাওয়ার জন্যই গিয়েছে। তাই সিঙ্গেল বেঞ্চে থাপ্পড় খাওয়ার পর নির্লজ্জ প্রশাসন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে বিজেপিকে আটকাতে চাইছে। কিন্তু সেখানেও আজকে তারা থাপ্পড় খেয়ে মাথা নিচু করে নবান্নে ফিরবে। দিনের শেষে জয় হবে বিরোধীদের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আপাত দৃষ্টিতে বিজেপির সভা করার ক্ষেত্রে ধর্মতলায় তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা চোখে পড়ছে না। তবে আদালত কি রায় দেবে, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু একটি গণতান্ত্রিক রাজ্যে বিরোধীরা সভা করতে যাবে, আর সেখানে পুলিশ বারবার করে বাধা দেবে, এই সিস্টেমটা অন্তত বন্ধ হওয়া উচিত। সিঙ্গল বেঞ্চ বিজেপির পক্ষেই রায় দিয়েছিল। তাই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে রাজ্য ভেবেছিল, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করবে। কিন্তু সেখানেও যেভাবে বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছে এবং সভা করার ব্যাপারে নিজেদের জোরদার দাবি জানাচ্ছে, তাতে আদালতের ওপরেই ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!