সন্দেশখালি নিয়ে চরম অ্যাকশন রাজ্যপালের, রাজভবনে ছুটল নবান্ন ! উত্তাল রাজ্য ! জাতীয় রাজনীতি রাজ্য January 11, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের পুলিশ কতটা নির্লজ্জ হতে পারে, কিভাবে এই রাজ্যের সর্বনাশ করছে সরকার, তা প্রতি মুহূর্তে দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যখন বিরোধীরা সন্দেশখালীর ঘটনায় আওয়াজ তুলছে শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে, তখন রাজভবন কেন নীরব, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এবার ঘুম ভাঙতে শুরু করেছে রাজভবনের। এতদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। আর এবার একেবারে নিজের দপ্তরের রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করে ডেকে পাঠালেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি এবার সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন রাজ্যপাল? তাই কি এবার রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটা শুনে তিনি অ্যাকশনের পথে হাঁটবেন? প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যাওয়ার পর তাদের ওপর হামলা করা হয়। যে ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। আর তারপর থেকেই তিনি কার্যত উধাও। পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না, নাকি ইচ্ছা করতে ধরছে না, সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এমনকি রাজ্যপালও ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে পুলিশি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর এবার একেবারে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইডির শীর্ষকর্তার সঙ্গেও রাজ্যপাল দীর্ঘ সময় বৈঠক করেছেন। আর তারপরেই রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তার রাজভবনে পৌঁছে যাওয়া অন্য ইঙ্গিত বহন করছে বলেই মনে করছেন একাংশ। অনেকে বলছেন, শেখ শাহজাহান যে অপরাধ করেছেন, তারপর তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। যে পুলিশ বিরোধীদের বাধা দিতে দু মিনিট সময় নেয় না, বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে ঢোকায়, সেই পুলিশ এক্ষেত্রে কেন সময় নিচ্ছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। অর্থাৎ তৃণমূলের নেতা জন্যেই শেখ শাহজাহানকে ছেড়ে রাখা হয়েছে। আর তিনি যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে চলে যান, তাহলে অনেক বড় তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। তাই পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবেই তাকে ধরতে চাইছে না বলেই দাবি বিরোধীদের। তাই সব তথ্য এবার রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষকর্তার কাছ থেকে জেনে নিয়ে বড় কোনো বার্তা দিতে পারেন রাজ্যপাল বলেই মনে করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যের প্রশাসনের লজ্জা বলতে কিছু নেই। তবে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এবার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত রাজ্যপালের। যেভাবে বাংলার সার্বভৌমত্ব নষ্ট করা হচ্ছে, বাংলাকে পৃথক দেশ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতী, তাতে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে। তাই হিংসামুক্ত বাংলা গঠন করতে সাংবিধানিক প্রধানের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সেদিক থেকে কড়া বার্তা দিয়ে এই শেখ শাহজাহান নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সবক শেখানো উচিত রাজ্যপালের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল যখন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন, তখন বুঝতে হবে, কিছু একটা হতে চলেছে এই রাজ্যে। সন্দেশখালি নিয়ে যে পরিমাণ আওয়াজ তুলছে বিরোধীরা, যে পরিমাণ আন্দোলন তৈরি হয়েছে, তাতে ব্যাপক চাপে প্রশাসন। সম্প্রতি ইডি কর্তার সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যপাল নিজের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে রেখেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই সমস্ত কিছু নিয়েই রাজ্য প্রশাসন কি ভাবছে, তা হয়ত মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার পক্ষ থেকে এই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে নেওয়া হতে পারে চরম অ্যাকশন। গোটা ঘটনার গতি প্রকৃতি দেখে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -