জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঘোষণা – ভাইপো নয়, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন পার্টি সুপ্রিমোই! জাতীয় বিশেষ খবর February 20, 2019 দেখতে দেখতে এসে গেল আরেকটি লোকসভা নির্বাচন – দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, পরের পাঁচ বছর দেশ শাসনের ভার যাবে কাদের হাতে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। একদিকে, যখন বর্তমান শাসকজোট এনডিএ দাবি করছে – পাঁচ বছরে তাদের করা উন্নয়নে গোটা দেশ গর্বিত, তাই দেশের জনতা আবার নরেন্দ্র মোদিকেই দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিরিয়ে আনবে। অন্যদিকে তখন, দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে গড়ে উঠছে বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর মহাজোট। আর মহাজোটের দাবি, নরেন্দ্র মোদির আমলে নাকি দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন। আর তাই, দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে, দীর্ঘদিনের বৈরিতাকে ভুলে এক ছাতার তলায় আসতে হবে সকল আঞ্চলিক দলগুলিকে। যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ‘একের বিরুদ্ধে এক’ ফর্মুলায় লড়া যায়। আর এই জোটের দাবি – বিগতদিনে বিভিন্ন উপনির্বাচনে দেখা গেছে, এইভাবে জোটবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ে নরেন্দ্র মোদির অশ্বমেধের ঘোড়াকে থমকে দেওয়া গেছে। সুতরাং, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আগে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে হারাতে হবে, তারপরে ঠিক করা যাবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর বিরোধীদের পরিকল্পিত সেই জোটকে ক্ষমতায় আনার অন্যতম আয়োজক মহারাষ্ট্রের এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবার বড়সড় ঘোষণা করলেন। এর আগে, তিনি জানিয়েছিলেন বয়সজনিত ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। ফলে, জল্পনা ছড়িয়েছিল তাহলে তিনি সাধারণত যে আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেখানে তাঁর দুই ভাইপো, অজিত বা পার্থ পাওয়ারের মধ্যে একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কেননা, পাওয়ার পরিবারের ‘ভদ্রাসন’ বলে পরিচিত বারামতি থেকে তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু, রাজ্যসভার সাংসদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট করে দেন – পার্থ পাওয়ার, রোহিত পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার (শরদ পাওয়ারের ভাই) লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। কিন্তু, শরদ পাওয়ার ভোটে লড়বেন। স্বাভাবিকভাবেই শরদ পাওয়ারের মত বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদের প্রথমে নির্বাচনে না লড়ার কথা বলে, আবার দৃপ্তভাবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণায় শোরগোল পরে গেছে জাতীয় রাজনীতিতে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন বিরোধীদের কাছে অস্তিত্ব রক্ষার বড় লড়াই। তার উপর, মহারাষ্ট্রে মন কষাকষি ভুলে জোট করে নিয়েছে বিজেপি ও শিবসেনা। আর তাই, এই কঠিন লড়াইয়ে ভাইপোদের মত রাজনীতির আঙিনায় আনকোরাদের এগিয়ে না দিয়ে নিজেই সামনে থেকে লড়তে চাইছেন এই মারাঠা রাজনীতিবিদ। আপনার মতামত জানান -