এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তীব্র সংকটে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘একুশে-অন্নপূর্ণা’, ভবিষ্যৎ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন

তীব্র সংকটে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘একুশে-অন্নপূর্ণা’, ভবিষ্যৎ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন


মাত্র এক বছরের মধ্যেই বেনফিসের অন্নপূর্ণা প্রকল্প জীর্ণ প্রায় অবস্থায় পৌঁছালো। এই প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে এখন ভরসা এই সংস্থার খাবারের গাড়িগুলি। এই দামি বাজারে মাত্র একুশ টাকায় পেট ভরে মাছ-ভাত খাওয়াবে বেনফিস, এই পরিকল্পনার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছিলো মৎস্য দফতরের একুশে অন্নপূর্ণা প্রকল্প। এই প্রকলকে টিকিয়ে রাখতে সরকারী সাহায্যের দরকার হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য ২০১৬-র অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বেনফিস একুশে অন্নপূর্ণা প্রকল্পের পরিকল্পনা করে। ২০১৭-র প্রথম থেকে কম দামে ভাত, তরকারি, মাছ সহকারে দুপুরের আহারের এই প্রকল্প পুরো দস্তুর চালু হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই প্রসঙ্গে বেনফিসের অন্যতম কর্মকর্তা অমিত সাহা বললেন, “আমাদের যে খাবারের গাড়িগুলি রয়েছে, সেগুলি থেকে ভালো লাভ হয়। কিন্তু ২০১৭ থেকে চালু হওয়া একুশে অন্নপূর্ণা প্রকল্পতে বেনফিসের কোনও লাভ হচ্ছে না।প্রচুর যে লোকসান হচ্ছে, তাও বলব না। তবে একটা প্রকল্পকে সফল বলতে গেলে যে পরিমাণ আয় হওয়া উচিত্‍ বা কোনও খাতে কিছু বিনিয়োগ করার পর যে লভ্যাংশ থাকা প্রয়োজন, সেটা থাকছে না। যা বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেটা কোনওমতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্নপূর্ণা প্রকল্পের প্যাকেজ মোট ৩০০ গ্রামের। এখানে ১০০ গ্রামের বাংলা চালের ভাত, ৪০ গ্রামের রুই বা কাতলার মাছের একটা পিস। বাকি ১৬০ গ্রামে তরকারি, সবজি থাকে। এই প্যাকেজের খাবার বাইরের যে কোনোও হোটেলে খেতে গেলে ৪০ টাকা নিয়েই নেবে। সেখানে আমরা খাবারের মান বজায় রেখে একুশ টাকায় দিচ্ছি। লোক খাচ্ছেন না, তা নয়। বিক্রি যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, লাভ বলে কিছু থাকছে না। যা বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেটাই চলে যাচ্ছে। অবস্থা ভালো নয়।” এই প্রকল্পের টিকে থাকার বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ” রাজ্য সরকার খুব ভালো করেই জানে বিষয়টা। তবে তারা ভর্তুকি দেবে না। আমাদেরও এটা চ্যালেঞ্জ যে ভর্তুকি ছাড়াই আমরা এই প্রকল্পকে চালিয়ে যাব।”  কিন্তু কীভাবে চালাবেন তিনি এই প্রকল্প জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, “আগেই বলেছি যে আমাদের খাবারের গাড়িগুলি থেকে যথেষ্ট লাভ হয়। সেই লাভের টাকাতেই আমরা ভর্তুকি ছাড়াই এই প্রকল্পকে চালিয়ে যাব। সারা দেশের জন্যই একটা উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে অন্নপূর্ণা। কারণ সরকারের লোকসান হওয়া বেশিরভাগ প্রকল্প চালাতে গেলে হয় তাকে ভর্তুকি দিতে হয়, না হয় বন্ধ করে দিতে হয়। আমাদের ভর্তুকিও লাগবে না। বন্ধ হবে না একুশে অন্নপূর্ণা।” বেনফিসের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে ব্যবসায় লাভ লোকসান থাকে ঠিকই কিন্তু এক্ষেত্রে মূলত সাধারণ মানুষের কথাই ভাবা হচ্ছে। পেটের দায়ে কাজের সূত্রে বহু মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসেন। দুপুরে তাঁদের খাবারের জন্যে অন্নপূর্ণা প্রকল্প নিঃস্নদেহেই বড় ভূমিকা গ্রহণ যে করতে পারে যে বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলার দরকার পড়েনা। উল্লেখ্য এই প্রকল্পে কাজ করেন ১৫০ জন কর্মী। কলকাতার ১৬ টি প্রধান স্থানে ৫০টি গাড়ি দুপুর ১২-৩ টা অবধি ২১ টাকায় খাবার পরিবেশন করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!