এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলে থেকে ক্ষতি নয়, শুভেন্দুকে দেখে শিক্ষা নিক বিদ্রোহী বিজেপি! শৃঙ্খলা বোধহয় একেই বলে!

দলে থেকে ক্ষতি নয়, শুভেন্দুকে দেখে শিক্ষা নিক বিদ্রোহী বিজেপি! শৃঙ্খলা বোধহয় একেই বলে!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী বারবার প্রমাণ দিয়েছেন যে, তিনি তৃণমূলকে যেভাবে টাইট দিতে পারেন, তাতে তার সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতারা লড়াই অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু দলের ভেতরের লড়াই কখনই বাইরে আনেননি, শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক শুভেন্দুবাবু। সম্প্রতি ধুপগুড়িতে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। তারপর নানা মহলে চর্চা হয়েছে যে, বিজেপি বর্তমান নেতৃত্বকে দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বারবার শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিকের মত বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী লোকসভায় বিজেপি ভালো ফল করবে। এমত পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এই ফলাফলের পর দলের একাংশকে কটাক্ষ করেছেন। তবে এই ধরনের প্রবণতা যে পছন্দ হচ্ছে না শুভেন্দু অধিকারীর, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। যা দেখে অনেকে বলছেন, যারা বিজেপিতে বড় বড় পদে থেকে দলের বিরুদ্ধে বাইরে মন্তব্য করছেন, তাদের অন্তত শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই ধুপগুড়ির বিজেপির এই পরাজয়ের পরেই প্রকাশ্যে একটি মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে গুড বয় না সেজে হার নিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত বিজেপি নেতাদের। অর্থাৎ রাজ্যের সংগঠন পরিচালনা করা নেতাদেরই যে তিনি কটাক্ষ করেছেন, তা স্পষ্ট। কিন্তু বিজেপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ সাংগঠনিক দল। তাই দলীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনুপম হাজরার প্রকাশ্যে করা এই মন্তব্যকে ভালো চোখে নিচ্ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার স্পষ্টবার্তা, যে সমস্ত কর্মীরা মার খাচ্ছেন, লড়াই করছেন, তারা এই ধরনের বক্তব্য শুনে মনোবলে আঘাত পাবেন। তাই দলের ভেতরের কোনো বিষয়কে এভাবে প্রকাশ্যে আনা উচিত নয়।

একাংশ বলছেন, নেতা হতে গেলে শুভেন্দু অধিকারীর মতোই নেতা হওয়া উচিত। তার বিজেপিতে থাকার অনেকদিন হয়ে গেল। কিন্তু এখনও তিনি দাঁতের দাঁত চেপে লড়াইটা দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির রাজ্য সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তাহলেই টাইট পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শুভেন্দুবাবু কখনই এরকম কথা বলেননি। বরঞ্চ তাকে নিয়ে যারা প্রচার করছেন এবং বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের নিন্দা করছেন, তাদের বিরুদ্ধেই মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি শৃঙ্খলা মেনে চলেন। তাই দলের বিরুদ্ধে করা কোনো মন্তব্য তিনি সহ্য করবেন না।

অনুপম হাজরাকেও বার্তা দিয়ে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিলেন যে, বিজেপির কাছে এখন প্রধান শত্রু তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দলের ভেতরে শত্রু বাছাই না করে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত দলীয় নেতাদের। দলীয় শৃঙ্খলাকে মান্যতা দিয়ে দলের ভেতরেই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। আর যদি বাইরে এভাবে দলীয় নেতারা আলোচনা করতে থাকেন, কাদা ছোড়াছুড়ি করতে থাকেন একে অপরের বিরুদ্ধে, তাহলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বাড়তি মাইলেজ পেয়ে যাবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে যেভাবে জব্দ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী, তাতে তো তার সঙ্গে অন্য কোনো বিজেপি নেতা পেরে উঠবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তো শুভেন্দু অধিকারীকে শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতির দায়িত্বও তো তার প্রাপ্য। কিন্তু তারপরেও তিনি কিন্তু দলের বিরুদ্ধে একটিও মন্তব্য করেননি। বরঞ্চ দলীয় কর্মীরা যখন যেখানে বিপদে পড়ছেন, তখন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন এই শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে তিনি কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাবেন। কিন্তু সেই সময় কিছু বিজেপি নেতা দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে সেই শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইকে যেমন অসম্মান করছেন, ঠিক তেমনই তৃণমূলকে আরও সুবিধে করে দিচ্ছেন। যদি সংগঠন করতেই হয়, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে এই সমস্ত বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। দিনের শেষে তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!