বড় জয় গনতন্ত্রের, পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ তৃনমূল! আদালতের নির্দেশে খুশি বিরোধীরা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 11, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নির্বাচনে সন্ত্রাস করে, একের পর এক জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেও শান্ত হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের দখলে থাকা এক দুটো পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতেও সব চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে তারা। যেখানে কংগ্রেসের রানীনগর 2 পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পুলিশকে কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃনমূলের বিরুদ্ধে। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট বুঝিয়ে দিল, জয় হবে গণতন্ত্রের, রক্ষা পাবে গণতন্ত্র। অর্থাৎ সব সময় শাসকের চোখরাঙানি যে শেষ কথা বলবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, রানীনগর 2 পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড দখলে রাখতে সব চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেসের সভাপতি সহ 36 জন নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এমনকি তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে যে, তাদের নাকি তৃণমূল করতে হবে, এই অভিযোগও সামনে এসেছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই বোর্ড গঠনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। অবশেষে সেখানে সুবিচার পেল তারা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, বোর্ড গঠনের জন্য যদি নির্বাচন হয়ে থাকে, তাহলে সেই ফলাফল কোনোমতেই গ্রাহ্য হবে না। আর যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে এখনই সেই নির্বাচন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আদালতের পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ বিরোধী নেতাদের ভয় দেখিয়ে খুব দ্রুত বোর্ড গঠন করার যে স্বপ্ন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের, আদালতের এই নির্দেশের ফলে তা একেবারে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। বলা বাহুল্য, এই রানীনগর 2 পঞ্চায়েত সমিতি বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ব্যাপক অশান্তির খবর সামনে এসেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, কংগ্রেসের প্রচুর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তারা এই বোর্ডের ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে তুলে দিতে চাইছে। যে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত এখানে আদালতের পক্ষ থেকে বোর্ড গঠনের নির্বাচনের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর বিচার ব্যবস্থার এই নির্দেশে রীতিমত স্বস্তির হাওয়া বইছে বিরোধী শিবিরে। বিরোধীদের দাবি, গণতন্ত্রকে দুহাতে চেপে ধরে হত্যা করতে চাইছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এক দুটো পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিও যদি বিরোধীদের দখলে যায়, সেখানে থাবা বসাতে হবে তৃণমূলকে। তাই সর্বগ্রাসী তৃণমূলের এই চেষ্টা হয়তো রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে আটকাতে পারবে না বিরোধীরা। তবে গণতন্ত্রের রক্ষার জন্য শেষ ভরসা আদালত তাই সেই আদালতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জয় পেল কংগ্রেস। প্রমাণ হয়ে গেল, সব সময় ক্ষমতা এবং চোখ রাঙানি শেষ কথা বলে না। দিনের শেষে জয় হয় গণতন্ত্রের। রাণীনগরের পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন নিয়ে আদালতের নির্দেশের পর তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। আপনার মতামত জানান -