এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অধীর চৌধুরীর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেসের খোলনলচেই এবার বদলে যেতে চলেছে?

অধীর চৌধুরীর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেসের খোলনলচেই এবার বদলে যেতে চলেছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোমেন মিত্রের পর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলেছে। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেই পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব তুলে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। বর্তমানে বাংলায় কংগ্রেসের সংগঠনের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। দিনকে দিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে হাত শিবির।

সেদিক থেকে বিরোধী দলের জায়গা দখল করতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মুখ করে এবার কংগ্রেস নিজেদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে উদ্যত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই নতুন করে সংগঠন সাজাতে শুরু করেছেন অধীর চৌধুরী।

বস্তুত, সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকার সময় চারজনকে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধীর চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে কংগ্রেসের সংগঠন সাজানোর কথা শোনা যাচ্ছে। যেখানে অধীরবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরনো কোনো নেতার অস্তিত্ব থাকবে না বলেই মনে করছে একাংশ।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন জেলার জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে যারা কংগ্রেসের প্রতিকে জিতে তৃণমূল বা ভারতীয় জনতা পার্টি যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে আবার দলে ফেরত নেওয়া হবে কিনা, তার ব্যাপারে আলোচনা সেরে নিতে চাইছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জেলার জেলা সভাপতিরা সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কেমন কাজ করছেন, তাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুঝে নিতে চাইবেন নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অর্থাৎ নিজেদের দলের সংগঠনকে এখন চাঙ্গা করাই যে অধীরবাবুর কাছে প্রধান লক্ষ্য, তা বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক মহলের কাছে। আর তাই দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে এবার বিভিন্ন জেলার সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠককেই প্রধানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করাই নয়, আগামী দিনে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়েও রণনীতি তৈরি করা শুরু করে দিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। জানা গেছে, ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে একটি কমিটি করা হয়েছে। যেখানে মাথায় রাখা হয়েছে বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে। ইতিমধ্যেই মান্নান সাহেব সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে শুরু করে সুজন চক্রবর্তী এবং রবীন দেবের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে খবর।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপিকে সরাতে গেলে বাম এবং কংগ্রেসকে যে জোট করেই লড়তে হবে, তা বুঝতে বাকি নেই হাত শিবির এবং কাস্তে-হাতুড়ি শিবিরের কাছে। তাই তারা দুই দলই এখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে পরিবর্তনের পর নিজেদের মত করে তৃণমূল এবং বিজেপিকে আটকানোর জন্য সমঝোতার ওপর জোর দিতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বলেন, “বিজেপি এবং তৃণমূলের মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করতে হবে। অধীরবাবু সেই কাজ আগে করেছেন। লোকসভায় জোট না হওয়ায়, শুধু আমাদের নয়, বাংলার ক্ষতি হয়েছে। বিজেপি বেশি আসন পেয়েছে।”

এদিকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে যেভাবে বামেদের সঙ্গে সমঝোতা হোক কিংবা নিজেদের দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করা, সব কাজই শুরু করে দিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যার ফলে তার নেতৃত্বে কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশা করছেন দলের একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, “ভোটের আগে কোন জেলায় দলের কি অবস্থা, নেতৃত্বের কার কি বক্তব্য, জেলা সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে তা বুঝে নিতে চাই।” সব মিলিয়ে যেভাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দায়িত্ব পেয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজ শুরু করে দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, তাতে ভোটবাক্সে তার নেতৃত্বে কংগ্রেস কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!