ভার্চুয়াল সভাতেও স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমত মানা হল না, করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে চিন্তা! কলকাতা রাজ্য July 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব পালন করতে এবার ভার্চুয়াল সভার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে একুশে জুলাই প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ লোককে নিয়ে ধর্মতলায় অনুষ্ঠিত হয়, এবার তা আর করা সম্ভব হয়নি। মূলত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত না হয় তার জন্যই এই জনসভা বাতিল করা হয়েছে কিন্তু আদৌ এই জনসভা বাতিল করে লাভের লাভ কিছুই হয়তো বা নিজস্ব এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা শহীদ দিবস পালন করলেন কিন্তু খাস কলকাতাতেই আদৌ স্বাস্থ্যবিধি মানা হল! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন জানা গেছে শহীদ বেদীতে মাল্যদান এর অনুষ্ঠানে অনেক তৃণমূল নেতা মাস্ক ছাড়াই উপস্থিত হয়েছিলেন। ধর্মতলায় অনুষ্ঠান না হলেও তৃণমূলের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা এদিন সেখানে গিয়ে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে আসেন। তবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব কাউকেই সেভাবে পালন করতে দেখা যায়নি। যার জন্য তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রত্যেককেই বলতে শোনা যায়, সকলে সামাজিক দূরত্ব পালন করুন। কিন্তু অনেক নেতাকর্মীরাই গায়ের সঙ্গে লাগালাগি করে সেই শহীদ দিবসে উপস্থিত থাকেন। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ থেকে আগত ধর্মতলায় আসা 6 জনের একটি দল বলেন, “আমাদের বাড়ি মালদহে। প্রতিবার এই দিনে ধর্মতলায় আসি। তারপরে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া ঘুরে যাই। এবার সে সব বন্ধ। তবু গাড়ি ভাড়া করে ছয়জন চলে এসেছি। ধর্মতলার একটি হোটেলে কদিন থেকে এদিক-ওদিক একটু ঘুরে নেব। লকডাউনের মধ্যে কোথাও যাইনি। একুশের সভায় যাচ্ছি বললে পুলিশ ধরবে না জানতাম।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ নেত্রী নিজের নিজের বুথে কর্মসূচি পালন করার কথা বললেও, তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী শুধুমাত্র ঘোরার কারণেই যে একুশেয় জুলাইয়ের নাম দিয়ে কলকাতা এসেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু যে কারণে তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ করল না, অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব যাতে লঙ্ঘিত না হয়। সেই কারণ তো বিঘ্নিত হল! নেতারা ধর্মতলায় যাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে কর্মীদের ভিড় সেখানে উপচে পড়ল এবং সামাজিক দূরত্ব কেউ মানলেন না, তাতে সংক্রমণ বাড়বে বৈ কমবে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা এই গোটা বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “সবটাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বড় করে দেখানো উচিত নয়।” যা নিয়ে মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? এককালে করোনা ভাইরাস যখন চীনে দাপট চালাচ্ছিল, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, ভারতে আসতে তা এখনও অনেক দেরি। কিন্তু এখন যা অবস্থা, তাতে ভারত ছাড়িয়ে গোটা বাংলা জুড়ে এই করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল সভার কথা বললেও ধর্মতলায় শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করতে গিয়ে যে পরিমাণ ভীড় উপচে পড়ল, তাতে ভবিষ্যৎ ভয়াবহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -