ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় আদালতের নির্দেশে ঘুম উড়ছে পুলিশের, পরিষেবা দিতে গিয়ে অবস্থা নাজেহাল বিশেষ খবর রাজ্য July 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে বারবার ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে সরব হতে দেখা গেছে বিরোধী শিবিরকে। যদিও, শাসক দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বারবার। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মামলা চলেছে আদালতে। এবিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ করার পরও, পুলিশ অল্পকিছু এফআইআর করেছে। এরপর আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মামলা রুজু করতে হবে, সেইসঙ্গে অভিযোগকারীদের গোপন জবানবন্দি নিম্ন আদালতে নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর থেকেই এ কাজে লেগে পরেছে পুলিশ। পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীকে খুঁজে বের করতে হবে। তাকে নিম্ন আদালতে বিচারকের সামনে উপস্থিত করাতে হবে ও তার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করতে হবে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের কাছে এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারীরা যাতে নির্ভয় হয়ে তাদের জবানবন্দি দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশকে। সারা রাজ্যের মতো কলকাতা থেকেও ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে, মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পুলিশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই, একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ। অভিযোগকারীদের খুঁজে বের করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের গোপন জবানবন্দি নেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডিএসপি, অতিরিক্ত এসপি অফিসারদেরও এ বিষয়ে দেখাশোনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ঘুম ছুটে গেছে পুলিশের। বাড়তি কাজের চাপে দম বন্ধ অবস্থা হয়ে উঠেছে পুলিশের। এ প্রসঙ্গে জনৈক ডিএসপি জানিয়েছেন, এই সপ্তাহে তিনি ছুটি নিয়ে বাড়ি যাবার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু যা চাপ বেড়েছে, তাতে ছুটি পাবেন বলে মনে হচ্ছে না। আবার অপর এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগকারীকে খুঁজে বের করে। তাদের গোপন জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে উপরমহল থেকে। ডিএসপি, অতিরিক্ত এসপি অফিসারদেরও দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে, বেশকিছু পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, অনেক সময় অভিযোগকারীদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কষ্ট করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। আবার অনেকেই অভিযোগ করার পর আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক হচ্ছেন না। কিন্তু তাদেরকে নির্ভয় ভাবে আদালতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যা থেকে অনেকে বলছেন ভোট-পরবর্তী হিংসার যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে, তার সবগুলি হয়তো সঠিক নয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের লোকজন নানা স্থানে গিয়ে অভিযোগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু তাদেরকে খুঁজে পেতে পুলিশের ঘুম ছুটে যাচ্ছে। অভিযোগ যদি সমস্তই সত্য হত, তাহলে পুলিশের এতটা কষ্ট করতে হত না। সে ক্ষেত্রে সহজেই অভিযোগকারীকে খুঁজে বের করতে পারতেন ও তার কাছ থেকে জবানবন্দির নেবার ব্যাপারে সহযোগিতাও পেতেন। আবার, আরেকটি বিষয়ও উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে প্রচুর মানুষের বসবাস থাকার পরেও সেই এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশের বন্দোবস্ত নেই। বেশকিছু থানা সিভিক ভলেন্টিয়ারে ভরে গেছে। যাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ পর্যন্ত নেই। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার কারণে এলাকার খবর তাদের কাছে থাকলেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মত ক্ষমতা তাদের তেমন নেই। আপনার মতামত জানান -