এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বিরোধী মমতার’ দলিলকে সম্বল করেই ‘শাসক মমতার’ ঘুম ওড়াতে পূর্ন পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির

‘বিরোধী মমতার’ দলিলকে সম্বল করেই ‘শাসক মমতার’ ঘুম ওড়াতে পূর্ন পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির

এবার তৃণমূলের অস্ত্রেই তৃণমূলকে ঘায়েল করার মাস্টারপ্ল্যান করলেন দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটের দ্বারস্থ হয়ে ‘বিরোধী মমতার’ দলিলকে সম্বল করে ‘শাসক মমতার’কে অস্বস্তিতে ফেলতে পূর্ণ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামল গেরুয়াশিবির। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বাংলার গণতন্ত্রহীনতা,ভোটে বামেদের অবাধ রিগিং,সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো সহ একাধিক দাবী তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নেত্রীর এই ধরণের দাবী সম্বলিত এক ডজনের বেশি বই নিয়ে রীতিমতো পড়াশুনো শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর রাজ্যের প্রতিটি বুথকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এসেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপির এই ধরণের দাবীর তীব্র সমালোচনা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়া তৃণমূলের মহিলা শাখা এর প্রতিবাদে গতকালই ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে। এই অবস্থায় পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে তৃণমূলকে পাল্টা দিতে মমতার লেখা বই থেকে বাছাই করা অংশ চয়ন করে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করতে চাইছে বিজেপি। বিরোধী শিবিরের নেত্রী থাকাকালীন যে ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাসক হওয়ার পর এখন সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এই দ্বিচারী আচরণকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে হাইলাইট করে ভোটের বাজারে ফুটেজ খেতে চাইছে বিজেপি,এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য,’আমরা মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইগুলি খুঁটিয়ে পড়েছি। বাম জমানায় বিরোধী আসনে থাকাকালীন উনি দাবি করেছিলেন, বাংলাকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করা হোক।’ এছাড়া রাজ্যের সাধারণ মানুষ সেসময়৷ নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারতেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবীতে জানান জয়প্রকাশ বাবু।

তিনি আরো জানান,সব বিষয়গুলোই বিস্তারে নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বুথকে অতি স্পর্শকাতর দাবী করার পর মুখ্যমন্ত্রী বেঁকে বসেছেন। তাই এর বিরুদ্ধে স্টেপ নিতে,আর বিজেপির দাবীর যথার্থতা প্রমাণ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কথাগুলোই নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হবে।

সূত্রের খবর,সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোটের দাবীতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতা নেত্রীদের বক্তব্যের সিডিও জোগাড় করা হচ্ছে। এইসব সিডিতে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কেও একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য রয়েছে বলে দাবী গেরুয়াশিবিরের। এইসব ইস্যুগুলোকে ব্যবহার করে ভোটের মরশুমে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর বিজেপি। রাজ্যের ২৩ টি লোকসভা আসন দখলে রাখতে বিজেপি যে কতোটা মরিয়া তা ভোটের আগে তাদের কর্মসূচি দেখেই আঁচ করা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে টান টান উত্তেজনা রয়েছে দুই যুযুধান গোষ্ঠীর শিবিরেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!