ভোটের আগে ‘ভেট’ হতে পারে মদও, কমিশনের কড়া নজরে আবগারি দপ্তর কলকাতা রাজ্য March 17, 2019 লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মদ বিক্রির উপরও কড়া নজরদারি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিদিন রাজ্যে কত পরিমান মদ বিক্রি হল তার রিপোর্ট যেমন কমিশনে পাঠানোর নির্দেশ আবগারি দপ্তরকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন তেমনি ২০১৬ সালের নিরিখে মদ বিক্রির পরিমান বাড়ল না কমল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ১ মার্চ থেকে প্রতিদিনের হিসেব আবগারি দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশন নিচ্ছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের সময় ওই দিন কী পরিমান মদ বিক্রি হয়েছিল তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব চাওয়া হচ্ছে। আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে যত পানশালা এবং মদের দোকান রয়েছে সবার কাছ থেকেই খুঁটিয়ে তথ্য জোগার করা হচ্ছে। প্রতিদিন বেলা ১১ টার মধ্যে আগেরদিন কত পরিমান মদ বিক্রি হয়েছে তার হিসাব মদের দোকান এবং পানশালাগুলোকে আবগারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে মদের দোকানগুলিতে জমা করা হচ্ছে। সেখান থেকেই খাতায় কলমে হিসাব যাচ্ছে আবগারি দপ্তরে। তারপর সেটা পাঠানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবগারি দপ্তরের অফিসারদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যে কোনো নির্বাচনের সময় মদ বিক্রির প্রবণতা সাধারণত বেড়ে যায়। মদের নেশায় বুঁদ করে ভোট করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মান্ধাতার আমলের। আর সেকারণেই প্রতি বছরের মতো এবছরও মদ বিক্রির উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে এক ধাপ এগিয়ে নজরদারি প্রক্রিয়াকে আরো কড়া করা হয়েছে। প্রতিদিনের হিসাব নেওয়ার পাশাপাশি ২০১৬ সালের ওইদিন কী পরিমান মদ বিক্রি হয়েছিল তার তথ্যও নেওয়া হচ্ছে। মদ বিক্রি প্রক্রিয়া বাড়ছে না কমছে তার উপর কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়াটিকে সুষ্ঠুভাবে চালনা করতে একটি সফটওয়্যারও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে কোনো দোকানে হঠাৎ করে বেশি মদ বিক্রি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে। যার অর্থ হল,২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কোন দোকানে কত মদ বিক্রি হয়েছিল,তার সঙ্গে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারির মদ বিক্রির হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিয়ার,হুইস্কি ও রাম কত পরিমান বিক্রি হল তার হিসেব মদের দোকান এবং পানশালাগুলোকে পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরেও যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানালেন,প্রতি বছরের মতো এ বছরও নির্বাচনের সময় মদ বিক্রি রুখতে নজরদারি কড়া করল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই হাওড়া ও হুগলির বেশ কয়েকটি জায়গায় তদন্ত করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে,এই এলাকায় আগে যেখানে নতুন করে একটি পানশালা ছিল সেখানে নতুন করে তিনটি পানশালা তৈরি হয়েছে। ফলে বিক্রির প্রবণতা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত,আদিবাসী এলাকায় ও উত্তরবঙ্গে এই নজরদারি চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলেই জানালেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আপনার মতামত জানান -