এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঔদ্ধত্যের পতন, ব্রাত্যকে সাইড করলেন রাজ্যপাল! রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মোড়!

ঔদ্ধত্যের পতন, ব্রাত্যকে সাইড করলেন রাজ্যপাল! রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মোড়!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। শিক্ষামন্ত্রীর তরফে রাজ্যপালকে যেভাবে একের পর এক আক্রমণ করা হচ্ছিল, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাংলায়। দুদিন আগে মধ্যরাতে একটি কনফিডেন্সিয়াল চিঠি দিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছেন রাজ্যপাল। তবে সেই চিঠির রহস্য এখনও পর্যন্ত ভেদ হয়নি। আর তার মধ্যেই এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে সাইড করে দিলেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। তবে এই সাইডের অর্থ একটু অন্যরকম। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নয়, তবে মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হলো যে, শিক্ষামন্ত্রীকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চান না রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত, এদিন শিক্ষামন্ত্রীর “ভ্যাম্পায়ার” মন্তব্য নিয়ে রাজ্যপালকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কার্যত চমকে দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “জুনিয়র অ্যাপয়েন্টির মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দেব না। যদি কিছু বলার হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে বলব।” অর্থাৎ এতদিন শিক্ষামন্ত্রী একের পর এক শব্দের মধ্যে দিয়ে যেভাবে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন। অবশেষে সেই ব্যাপারে মুখ খুললেন সি ভি আনন্দ বোস। স্পষ্ট ভাষায় তিনি শিক্ষামন্ত্রীর গুরুত্বকে অনেকটাই লাঘব করে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, তার কাছে শিক্ষামন্ত্রীর এই সমস্ত মন্তব্য কোনো দাম নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে সংঘাত রাজ্য বনাম রাজ্যপালের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, তা এখনও চলছে। রাজ্যপালকে কখনও ফাসুরে কখনও কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার বিদূষক বলে নানা ভাষায় কটাক্ষ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এমনকি এতকিছুর পরে যখন রাজ্যপাল রীতিমতো সময়সীমা দিয়ে বলেছিলেন, মধ্যরাতে হুশিয়ারির কথা, তখন শিক্ষামন্ত্রী একটি টুইট করেছিলেন। যেখানে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেও নাম না করে “ভ্যাম্পায়ার” শব্দ উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

আর সাংবিধানিক প্রধানের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রীর এই ধরনের টুইট দেখে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষাবিদরাও। সকলে একটাই দাবি করছিলেন যে, কেন শিক্ষামন্ত্রীকে এই ধরনের অপমান সূচক মন্তব্যের পরেও ছেড়ে দেওয়া হবে! মন্ত্রী হয়ে কি তিনি মাথা কিনে নিয়েছেন! সাংবিধানিক প্রধানকে এই ধরনের অপমান করার অধিকার তাকে কে দিয়েছে! তবে অবশেষে তার জবাব দিতে দেখা গেল রাজভবনকে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শিক্ষামন্ত্রীর যাবতীয় জবাব এবং কটাক্ষ দুটি চিঠির মধ্যে দিয়ে হয়তো বা নবান্নকে এবং দিল্লীকে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে সেই চিঠির রহস্য এখনও উদঘাটিত হয়নি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এবার শিক্ষামন্ত্রীকে “জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি” বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি সাংবিধানিক প্রধান। তাই তার কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীকে এবং তার মন্তব্যকে তিনি খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অর্থাৎ ব্রাত্যবাবু এতদিন রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বড় গুরুত্ব পেয়ে যাবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের পাল্টা মন্তব্য তার সমস্ত গুরুত্ব মিশিয়ে দিল। আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন রাজ্যপাল। যাকে ঘিরে রীতিমত জমজমাট রাজ্য রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!