ভারতের বাইরে এই দেশেও আছে অযোধ্যা, আছে রামায়নের অনন্য স্বীকৃতি! জেনে নিন বিস্তারিত আন্তর্জাতিক August 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাম জনভূমি অযোধ্যায় গত ৫ ই আগস্ট উদযাপিত হলো মন্দিরের ভূমিপুজন উৎসব, যার মধ্যে দিয়ে রচিত হলো রাম মন্দিরের ভিত্তি। সারাদেশ দেশ সেদিন মেতেছিল উৎসবে। যার রেস ভারত ভূমি অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বে। আমেরিকার টাইম স্কোয়ারেও সেদিন ভেসে উঠেছিল মন্দিরের ভূমি পুজার অনুপম দৃশ্যাবলী। কিন্তু এই অযোধ্যা কিন্তু ভারতেই নেই, ভারতের বাইরেও আছে কিন্তু একটি অযোধ্যা। বিগত, ১৫ শতকে থাইল্যান্ড দেশটির রাজধানী ছিল ‘অয়ুথ্যা’ শহর, থাইল্যান্ডের ভাষায় যার অর্থ হলো অযোধ্যা। পরবর্তীকালে বর্মি সেনাদের আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যায় অয়ুথ্যা শহর, শহরের সমস্ত মন্দির, প্রাচীন মূর্তি সবকিছুই হারিয়ে যায় কালের গর্ভে। ইতিহাসের পাতায় পাওয়া যায়, থাইল্যান্ড দেশে একসময়ে রাম রাজত্ব ছিল। থাইল্যান্ডের চক্রী বংশের প্রতিষ্ঠাতার উপাধি ছিল প্রথম রাম। আজও থাইল্যান্ডে রয়েছে এই চক্রী রাজ বংশ। বর্মী সেনার উপদ্রব মুক্ত হবার পর থাইল্যান্ডে আবার নিজের পুরোনো সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান শুরু হয়। প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো ‘রামাকিন’, যার অর্থ হলো রামের কীর্তি বা মহিমার বর্ণনা। রামায়ণের বিভিন্ন ঘটনাকে অবলোনমন করে এইদেশে নাটক ও পুতুল নাচেরও প্রচলন আছে। রাম, সীতা, লক্ষণ, বালী, হনুমান, রাবণকে নিয়ে এই নাটকগুলোর আয়োজন করা হলেও, দূরত্বের কারণেই হয়তো মূল রামায়ণের সঙ্গে রামাকিনের কিছুটা বদল ঘটে গেছে। প্রসঙ্গত, রামায়ণ বিয়োগান্তক হলেও রামাকিন কিন্তু মিলনান্তক। এখানে দেখানো হয়েছে, সীতার পাতাল প্রবেশের পর রাম সীতা লাভের উদেশ্যে কঠিন তপস্যা শুরু করলেন, রামের তপস্যার কারণেই আবার ফিরে এলেন সীতা, ঘটলো পুনর্মিলন। থাইল্যান্ডে পুরোনো সংস্কৃতির শেকড় অনুসন্ধানের সময় থেকেই সেখানে রামাকিন কে আবার তার পুরোনো মর্যাদায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজা প্রথম রামের হাতে সংকলিত ১৭৯৭ – ১৮০৭ সময়কার ‘রামলীলা’ আজও প্রচলিত আছে। এই সময়-এর রামাকিন-এর সংস্করণকে দেশের জাতীয় সংস্করনের মান্যতা দেওয়া হয়। যদিও থাইল্যান্ড বৌদ্ধধর্মের দেশ, কিন্তু বহু হিন্দু প্রতীক এখনো অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে এই দেশের সঙ্গে। যেমন, এই দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক হলো হিন্দু পুরান থেকে আসা গড়ুর, শুধু তাই নয় ব্যাংকক বিমান বন্দরের লাউঞ্জে আছে পূরণে বর্ণিত দেবাসুরের সমুদ্র মন্থনের অনুপম দৃশ্য। ১৯৩২ সালে দেশে গণতন্রের সূচনা হবার পর থেকে পুনরায় থাইল্যান্ড সরকার ধ্বংসপ্রাপ্ত অয়ুথ্যা শহরের পুনর্নির্মাণ শুরু করে। জঙ্গল পরিষ্কার করে উদ্ধার করা হয় ইতিহাসের ধ্বংসাবশেষ গুলি। প্রসঙ্গত এই শহরে একটি অনেকদিনের পুরোনো পার্ক আছে, যেখানে আছে মাথাহীন কিছু স্তম্ভ, ভগ্ন দেওয়াল সহ মস্তকবিহীন একটি বুদ্ধমূর্তি। এখানেই বেলে পাথর নির্মিত একটি বুদ্ধ মূর্তির মস্তকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রাচীন বটবৃক্ষ। এই বটবৃক্ষকে অযোধ্যায় বট মহাথাট অর্থাৎ চতুর্দশ শতাব্দীর পুরাতন সাম্রাজ্যের স্মৃতি চিহ্নে স্বরূপ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। প্রসঙ্গত, ভারতের রাম জন্মভূমি নির্মাণ কতৃপক্ষ ন্যাস ২০১৮ সালে থাইল্যান্ড দেশে একটি সুরম্য রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা করেছিল, এখন চলছে সেই মন্দির নির্মাণের কাজ। ব্যাংকক শহরে বিখ্যাত সোর নদীর তীরে চলছে মন্দির নির্মাণের কাজ। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকককে সেদেশে মহেন্দ্র অযোধ্যাও বলা হয়। দেশবাসীর বিশ্বাস এই মহেন্দ্র অযোধ্যাও দেবরাজ ইন্দ্র দ্বারা নির্মিত। একারণেই এখন থেকে পরিচালিত হয় দেশের শাসনকার্য। আপনার মতামত জানান -