আর বিরোধিতা নয়, এবার বিজেপির সঙ্গে সহযোগিতার পথেই হাঁটবেন এই হেভিওয়েট নেত্রী, শুরু শোরগোল জাতীয় বিশেষ খবর October 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিরোধিতা ভুলে এবার বন্ধুত্বের পথেই হাঁটতে চলেছেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। তবে এই ঘটনার আঁচ আগেই করা গিয়েছিল বলে জানা গেছে। কারণ মায়াবতীকে নিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন ছিল বিরোধী শিবিরে। কারণ একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা যখন বিজেপিকে আক্রমণ করছেন, তখনও কার্যত নীরব ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, পরিযায়ী শ্রমিক, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যখনই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কটাক্ষ করেছেন, তখন যোগী সরকারকে আক্রমণ না করে উল্টে কংগ্রেসকেই আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল মায়াবতীকে। যা নিয়ে বেশ ভালোরকম জলঘোলা হয়েছে। কংগ্রেস অনেকদিন ধরেই মায়াবতী বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে আসছেন বলেই অভিযোগ করে আসছিল। তবে আজ সেই অভিযোগই সত্যি প্রমাণ করে দিলেন খোদ বিএসপি নেত্রী। এদিন তিনি জনসমক্ষে জানিয়ে দেন যে কোনও মূল্যে উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকে হারাতে চান তিনি। আর সেজন্য যদি বিজেপিকে সমর্থনেরও প্রয়োজন হয়, তবে তাঁর তাতে আপত্তি নেই। আর এই ঘটনার পর ভোটের আগে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মায়াবতীর দল নিজের রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই এখন কার্যত প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত যে তাঁকে আবার ফ্রন্ট ফুটে নিয়ে আসবে, সেটা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে গতকালই মায়াবতীর দলের বিধায়করা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বলেও জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এর থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, রাজ্যসভা নির্বাচনে আলদা প্রার্থী না দিয়ে সমাজবাদী পার্টিকেই বিএসপি সমর্থন করুক, এমনটাই হয়ত তারা চেয়েছিলেন। কিন্তু মায়াবতী তাঁদের কথা না শুনে আলাদা প্রার্থী দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে হয়। আর এতেই বিজেপি আসলে লাভবান হবে বলেই মনে করেছেন রাজনীতিবিদরা। সেইসঙ্গে জেনে রাখা দরকার, দলের নেত্রীর এই সিদ্ধান্ত না মানতে পেরে যদি সাত বিধায়ক সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন, সেই আশঙ্কা করে গতকালই তাঁদের সাসপেন্ড করেছেন বিএসপি নেত্রী। আর তারপরই আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন, লোকসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করে তারা ভুল করেছিলেন। কারণ ভোটের পর তাদের সঙ্গে যা আচরণ করা হয়েছে, তাতে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের আরও ভাবা উচিত ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। এমনকী মুলায়মের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তও যে ভুল ছিল, সেই কথাও শোনা গেছে তাঁর মুখে। তাই মায়াবতী আসন্ন বিধান পরিষদের নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির বিরোধিতা করবেন বলেই জানিয়েছেন। আর যে কোনও মূল্যে ওদের দ্বিতীয় প্রার্থীকে হারানোটা তাঁদের লক্ষ্য বলেও জানান তিনি। আপনার মতামত জানান -