এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার আগে চাই উন্নয়ন মডেল! এবার বড়সড় পদক্ষেপের পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

বিধানসভার আগে চাই উন্নয়ন মডেল! এবার বড়সড় পদক্ষেপের পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মার্চ মাস থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই সমগ্র দেশের অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে যায়। অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেরও আর্থিক অনটন শুরু হয়। আর তার পরেই রাজ্যে ধেয়ে আসে অম্ফান ঝড়ের মহাতান্ডব। ফলে রাজ্যের অর্থনীতি আরো বিধ্বস্ত হয়ে পরে। এই অবস্থায় রাজ্যের কোষাগার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।  রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, “নো আর্নিং, ওনলি বার্নিং”। রাজ্যে প্রশাসন চালাতে, উন্নয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যাপক অর্থের প্রযোজন, অথচ সরকারের আয়ের বেশিরভাগ রাস্তাই যে বন্ধ।

এদিকে রাজ্যে করা নাড়ছে, আগামী ২০২১ এর বিধানসভা ভোট। যে ভোটের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে চলেছে উন্নয়ন। তাই শেষপর্যন্ত বিপর্যস্ত, বিদ্ধস্ত অর্থনীতির পটভূমিতে রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে রাজ্যের আয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ব্যয় ও উন্নয়নের পরিকল্পনার একটা রোডম্যাপ নির্মাণ করলো মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্ন।

রাজ্যের বাড়তি খরচের ভার লাঘব করে উন্নয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। আগামী ৩০ সে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে জারি করা হলো একটি বিশেষ নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন কোন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবেনা, সেইসঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পুরোনো প্রকল্পগুলিরও পরিবর্তন, পরিমার্জন করা যাবে না। জনস্বার্থে কোন নতুন প্রকল্পগ্রহন বা পুরোনো প্রকল্প পুনরায় চালু করতে হলে অর্থদপ্তরের অনুমোদন আবশ্যিক।

সম্প্রতি কোন সরকারি অফিসের জন্য গাড়ি, কম্পিউটার, আসবাবপত্র, ওয়াটারকুলার, টিভি, এসি কিংবা অফিসের বাড়তি সরঞ্জাম ক্রয় করা যাবে না, এমনকি নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া গাড়িও ভাড়া করা যাবে না। শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে ও অর্থদপ্তরের অনুমতি স্বাপেক্ষে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান মেরামত করা যাবে। সরকারি ভবনের সংস্কার বা সৌন্দর্যায়ন আপাতত স্থগিত রাখা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সরকারি মিটিংয়ের খরচে রাশ টানা হবে, সেইসঙ্গে রাশ টানা হবে মন্ত্রী- আমলাদের বিমান ভ্রমণেও, খুব প্রয়োজন হলে কেবল ইকনমি ক্লাসেই বিমান ভ্রমণ করা যাবে। আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস অফিসারদের হাউস বিল্ডিং এর অ্যাডভান্স বন্ধ রাখা হবে। কোন সরকারি কর্মচারী  চিকিৎসা, শিক্ষা এবং বিয়ে ছাড়া জিপিএফ থেকে টাকা তুলতে পারবেন না, গাড়ি, বাইক বা কম্পিউটার কেনার সময়ে অগ্রিম টাকা পাবেন না। এরসঙ্গেই নির্মাণ কাজের অঙ্গে যুক্ত না থাকা কোন সরকারি দপ্তর ১০ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না।

এই ব্যয় সঙ্কোচন আগামী ৩০ সে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে প্রয়োজনে তা বাড়ানোও হতে পারে বলে সংবাদসূত্রে জানা গেছে।  তবে কিছু কিছু সরকারি প্রকল্প এই আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। যেমন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী, বা স্বাস্থ্যসাথীর মতো জনস্বার্থমুখী প্রকল্পগুলি পূর্বের মতোই বহাল রাখা হবে। তেমনি কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলিকে পানীয় জল, বনসৃজন, জল সংরক্ষণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ অনন্য জরুরি পরিষেবাগুলি চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে।

সেইসঙ্গে জনস্বার্থ বিষয়ক প্রকল্পগুলি, রাজ্যের করোনা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলি, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্প পূর্বের মতোই বহাল থাকবে। সেইসঙ্গে ফসলের বীমা, সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ভাতা, পেনশনের মতো বিষয়গুলিতেও কোন লাগাম পরাবার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!