এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে বিতর্ক! উদয়ন-বেচারাম কাণ্ডের পর নিজেকে ‘মস্তান, ভোট ছিনতাইকারী’ আখ্যা আরেক হেভিওয়েটের

তৃণমূলে বিতর্ক! উদয়ন-বেচারাম কাণ্ডের পর নিজেকে ‘মস্তান, ভোট ছিনতাইকারী’ আখ্যা আরেক হেভিওয়েটের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ছে। একের পর এক হেভিওয়েট নেতা এবং বিধায়কদের মন্তব্যে জোর অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহলে। ইতিমধ্যেই উদয়ন গুহ, বেচারাম মান্নার মত হেভিওয়েট তৃনমূল বিধায়করা দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

আর এবার দলীয় কর্মীসভায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন জলপাইগুড়ি তৃণমূলের এসটি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস। যেখানে নিজেকে মস্তান, ভোট ছিনতাইকারী বলে অন্যান্য নেতাদের উদ্দেশ্যে কার্যত চ্যালেঞ্জ উঠতে দেখা গেল এই তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই তৃণমূল নেতা এই ধরনের মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

সূত্রের খবর, রবিবার জলপাইগুড়ির আর্ট গ্যারালিতে তৃণমূলের একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজ সেখানেই কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আমরা যদি দাগী মালদের ভোটে জেতাতে পারি, তাহলে সদরের তাবড় তাবড় নেতা ভালো মানুষ থাকতেও, কেন ভোটে জিততে পারি না!” আর এরপরই এসসি এসটি সেলের কর্মীদের এনে সদর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করে দেখাবেন বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে দেখা যায় এই তৃণমূল নেতাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই তার এই রকম মন্তব্যে শাসকদল যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একাংশ বলছেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গায়ের জোরে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার সেই কৃষ্ণ দাস যেভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে সরব হলেন এবং শহরের নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই হেভিওয়েট নেতার মন্তব্যে জোড়া অস্বস্তিতে পড়ল শাসকদল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণ দাসের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “সব প্রশ্নের জবাব আমি দেব না। দল যা বলার বলবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “কীভাবে তিনি এমন শব্দ ব্যবহার করলেন, তার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই।” তবে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই কৃষ্ণ দাস কি বলছেন? কেন তিনি এই রকম মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন?

এদিকে প্রসঙ্গে কৃষ্ণ দাস বলেন, “আমি এক রকম ভাবে বিষয়টি বলার চেষ্টা করেছি। আর এক রকম ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।” তবে তিনি যে কথাই বলুক না কেন, প্রবীর ঘোষাল থেকে শুরু করে বেচারাম মান্না, মিহির গোস্বামীর মতো নেতারা যেভাবে একের পর এক দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তাতে সেই তালিকায় যুক্ত হলেন কৃষ্ণ দাস।

আর একের পর এক তৃণমূল নেতার এই বিস্ফোরক মন্তব্যে শাসক দল ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতাদের মুখে লাগাম টানতে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!