এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতা ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ধনকরের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে! রাজ্য-রাজনীতির রাশ ক্রমশ আলগা তৃণমূল নেত্রীর?

মমতা ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ধনকরের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে! রাজ্য-রাজনীতির রাশ ক্রমশ আলগা তৃণমূল নেত্রীর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, এবার তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন। আর এই জল্পনাকে নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা চলছে, ঠিক তখনই রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকরের সঙ্গে পাহাড়ের দুই বিধায়কের বৈঠককে কেন্দ্র করে তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ির সরকারি আবাসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিমবো এবং কালিম্পংয়ের বিধায়ক সরিতা রাই। যেখানে বৈঠকে এই দুই বিধায়ক রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তাদের বিধায়ক তহবিলের টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। তবে দুই বিধায়কের মধ্যে একজন বিজেপির হলেও, অপরজন তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই সেই বিধায়ক কেন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিলেন, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপ নির্বাচনে জয়লাভ করে দার্জিলিঙয়ের বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুটি শিবিরে বিভাজিত হয়ে যাওয়ার পর বিনয় তামাংয়ের দিকে চলে যান সরিতা রাই এবং রোহিত শর্মা। বর্তমানে বিনয় তামাং তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে চলেছেন। তবে গত লোকসভা ভোটে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ জয়লাভ করতেই সরিতা রাইয়ের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে থাকে।

আর এবার সেই সরিতা রাই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সব সময় আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক থাকা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে তৃনমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ করে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই বিধায়ক যেভাবে দিনরাত রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করলেন, তাতে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এই প্রসঙ্গে সেই সরিতা রাইকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ব্যাপারে বিজেপি বিধায়ক নিরজ জিমবো বলেন, “বিধায়ক তহবিল থেকে যে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অর্থ দিয়েছি, তা থমকে রয়েছে, শুধুমাত্র সরকারি অসহযোগিতায়। আমরা আমাদের যাবতীয় অভিযোগের কথা রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যথার্থভাবে বিষয়টা দেখবেন।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। দিনরাত আইনশৃঙ্খলা অবনতি থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে বিরোধিতা তৈরি হতে দেখা যায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। এমত পরিস্থিতিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিধায়কের সেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠককে কেন্দ্র করে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!