এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুজোর মুখে একগুচ্ছ দাবীদাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের চাপ বাড়াতে আসরে রাজ্যের নার্সের সংগঠন

পুজোর মুখে একগুচ্ছ দাবীদাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের চাপ বাড়াতে আসরে রাজ্যের নার্সের সংগঠন


পুজোর মুখে একগুচ্ছ দাবীদাওয়াকে সামনে রেখে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মাল্টিপার্পাস ফিমেল ওয়ার্কার সংগঠনের নার্সরা। জেলায় জেলায় মিনি স্বাস্থ্যভবন তৈরি করেছে রাজ্যসরকার। এর জেরে নার্সদের কাঁধে অতিরিক্ত দায়িত্ব এসে পড়েছে। এতোরকম রেজিস্টেশান মেইনটেইন করতে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে তাঁদের। তাছাড়া এতো দায়িত্ব একসাথে সামলাতে গিয়ে হাসপাতালের রোগীদের পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা। নিজেদের সমস্যার কথা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হলেও তাঁরা এ ব্যাপারে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে সমস্যা আরো জটিল হয়েছে। নার্সিং ট্রেনিং সংক্রান্ত সংশাপত্র রিনিউ করিয়ে এবং নিয়োগপত্রে নার্সিং ক্যাডার জিআর ১১১ (গ্রড থ্রি) উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা নার্সিং এর কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। এই সমস্যার কথা জানিয়ে বহুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেও রাজ্যসরকারও বিষয়টির গুরুত্ব দিচ্ছে না। এমনকি সারা রাজ্য ব্যাপরী কম্যুনিটিতে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা মাসপিটিশন দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদনও করেছেন,কিন্তু আজও সে আবেদনে সাড়া দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন সংগঠনের এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী।

সংগঠনের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সমস্যার কথা শুনে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্যাডার দেওয়ার। তাঁর আশ্বাস পেয়েই স্বাস্থ্যকর্মীরা অল ইন্ডিয়া ফেডারেশান গ্রুপ ওয়ার্কিং কমিটির তরফ থেকে একটি বৈঠকেও বসা হয়। বৈঠকে ওড়িশা,ঝাড়খন্ড পুডুচেরি,আসাম,রাজস্থান সহ বেশ কয়েকটি পড়শি রাজ্যের মিলিত ফোরাম কেন্দ্রীয় সরকারের হেল্থ মিনিস্ট্রি এবং সেক্রেটারি,ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল এর কাছে যৌথভাবে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয়। রাজ্য আলাদা হলেও কর্মসূত্র স্বাস্থ্যকর্মীরা এক সুতোয় বাঁধা। তাই একইরকম সুবিধা পাওয়ার আশায় সম্মিলিতভাবে প্রস্তাবটি রাখা হয়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতনের বেশীরভাগ অংশটাই কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। তবে সম্প্রতি সিএইচও নামে একটি পোস্ট তৈরি করা হয়েছে, যারা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এএনএফ কর্মচারীদের উপরের স্তরে থাকবেন। এই প্রেক্ষিতে,সংগঠনের স্বাস্থ্যকর্মীরা দাবী করেছেন এই সিএইচও পদটির জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে ট্রেনিং করার সুযোগটা পাক,কিন্তু কেন্দ্র এই কোর্স করার জন্য যে মানদন্ড সামনে রেখেছে তাতে বলা হয়েছে জিএনএম/বিএসসি এবং দুবছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যারা,এবং যারা ইন্ডোর সার্ভিস দিয়ে এল তাদর ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করলেই কি কম্যুনিটির এক্সপিরিয়েন্সের সমান হয়ে যাবে?প্রশ্ন ওয়েস্ট বেঙ্গল মাল্টিপার্পাস ফিমেল হেল্থ ওয়ার্কার সংগঠনের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের। এসবের ভিত্তিতেই বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের যৌথ ফোরাম একটি রিসোলেন করেছে। এখন এর ভিত্তিতে রাজ্যসরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটার দিকেই তাকিয়ে বসে আছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা। আশা করা হচ্ছে লোকসভা ভোটের আসন্ন বেলায় তাঁদের দাবীদাওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারে এবার রাজ্যসরকার। তবে ব্যাপারে এখনো প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিনের এই বঞ্চনা থেকে মুক্তি মিলবে কবে? এই জবাব জানতে  আকুল উৎকন্ঠায় সংগঠনের মহিলা কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!