এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শেষ হইয়াও হইল না শেষ! অধ্যায় মামলা নিয়ে নতুন ভাবনায় সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি

শেষ হইয়াও হইল না শেষ! অধ্যায় মামলা নিয়ে নতুন ভাবনায় সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি


 

দীর্ঘদিন ধরেই অযোধ্যা মামলার রায়ের দিকে তাকিয়েছিলেন সকলে। সেখানে রাম মন্দির হবে, নাকি মসজিদ হবে, তা নিয়ে বিতর্কের অবসান চাইছিল গোটা দেশবাসী। অবশেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত 9 নভেম্বর দেশের শীর্ষ আদালত এই অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলার রায় ঘোষণা করে। আর এই রায় ঘোষণার আগে এবং পরে আশঙ্কা এবং জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল যে, হয়ত বা এই রায়দানের পর দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে।

কিন্তু সেই সমস্ত কিছু হয়নি। এমনকি সকলেই এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। বস্তুত, রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রাম মন্দির নির্মাণে 2.77 করের বিতর্কিত জমির পুরোটাই হিন্দু পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হোক। যেখানে সেই জমিতে মন্দির করবার জন্য কেন্দ্রকে একটি ট্রাস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যাতে ওই জমির বদলে অন্য কোনো স্থানে পাঁচ একরের বিকল্প জমির সংস্থান করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তবে এরপর সেইভাবে মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো বিরোধিতা না করা হলেও এবার তার বিরোধিতায় সরব হল একাংশ।

জানা গেছে, এই রায় পুনর্বিবেচনার পথে হাঁটা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে এদিন মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি বৈঠকে বসা হয়। আর সেখানেই তারা জানিয়ে দেয় যে, সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদের এই প্রসঙ্গে পার্সোনাল ল বোর্ডের সচিব জাফরিয়াব জিলানি বলেন, “মসজিদের জমি আল্লাহর সম্পত্তি। শরীয়ৎ আইন অনুযায়ী, এই জমি কাউকে দেওয়া যায় না।” এদিকে জমিয়ত- উলামায়ে-হিন্দের পক্ষ থেকেও এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার পক্ষে সওয়াল জানানো হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মৌলানা আরশাদ মাদানি বলেন, “জমিয়াতের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ওয়ার্কিং কমিটি পুনঃবিবেচনার পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা এখন থেকেই জানি, আমাদের পুনঃবিবেচনার আবেদন 100% খারিজ হয়ে যাবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের এই পুনর্বিচারের কথা জানাতে হবে। কারণ এটা আমাদের অধিকার।”

তবে জমিয়াতের পক্ষ থেকে এই রায় পুনর্বিবেচনার কথা বলা হলেও যেভাবে তারা আগে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছিল এবং এর বিরোধিতা করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল, ফলে তাদের এখনকার মন্তব্য নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর সংখ্যালঘু সমাজের পক্ষ থেকে এবার অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি করার উদ্যোগ নিয়ে সেই অযোধ্যা মামলা আবার বিশবাঁও জলে চলে যায় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!