এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আক্রান্ত হলেন উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে

আক্রান্ত হলেন উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে

সারা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে এবার তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে তৃণমূল 22 টি আসন পেলেও উত্তরবঙ্গে তাদের একটা আসনও জোটেনি। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে 18 টি আসন পেয়ে বিজেপি বর্তমানে শাসকদলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। আর রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের উত্থান ঘটার পরই তৃণমূলের ভিত যে ক্রমশ আলগা হয়ে যাচ্ছে, তা ফের কোচবিহার জেলায় প্রমাণ হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত, এবারে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে নাম লিখিয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। আর তারপরই তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারীকে পরাজিত করে এখানে শেষ হাসি হেসেছেন তিনি। আর এরপর থেকেই নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা এই কোচবিহার জেলায় আসলে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের।

কিছুদিন আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে পাটি অফিস দখলের অভিযোগ তুলে সেই দলীয় অফিসগুলো উদ্ধার করতে কোচবিহারে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মন্ডল এবং মালা রায়েরা। কিন্তু মাঝপথেই তাদের চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। আর এরপরই সম্প্রতি সেই কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী গেলে তাকেও চরম বিক্ষোভে এলাকা ছাড়তে হয়। এই ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে দাবি করে বিরোধীরা। এমতাবস্তায় এবার দিনহাটা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহকে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার দিনহাটার নয়ারহাট এলাকায় উদয়নবাবু গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, মাঝ রাস্তায় একদল ব্যক্তি তার গাড়ি আটকে কালো পতাকা দেখাতে শুরু করে। এমনকি তৃণমূল বিধায়কের গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। আর এই ঘটনাতেই এবার তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে।

তৃণমূলের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরিই ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির তরফে এই গোটা ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু খোদ শাসকদলের বিধায়ক এইভাবে হেনস্তার শিকার হলেন কেন! এবার সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে একাংশকে। তাহলে কি পুলিশ প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই শাসকদলের! আর সেই কারণেই বিধায়ককে এভাবে হেনস্তার শিকার হতে হল! এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!