এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “করে খাওয়ার দল, শৃঙ্খলাহীন” বলে তৃণমূলকে তোপ দেগে বিজেপিতে যোগ সংখ্যালঘু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে

“করে খাওয়ার দল, শৃঙ্খলাহীন” বলে তৃণমূলকে তোপ দেগে বিজেপিতে যোগ সংখ্যালঘু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে

এবারের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার টার্গেট পূরণ করতে পারেননি। 42 এ 42 এর শ্লোগান দিলেও তৃণমূলের দখলে এসেছে মোটে 22 টি আসন। আর রাজ্যে তৃণমূলের এই ভরাডুবির পরই দিকে দিকে শাসক দলের একাধিক জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন।

আর এবার শাসকদলের অস্বস্তিকে আরও দ্বিগুনভাবে বাড়িয়ে দিয়ে বাঁকুড়ার সোনামুখী এবং পাত্রসায়র এলাকা থেকে তৃণমূলের থাকা একাধিক সংখ্যালঘু মানুষ এবার নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে। জানা গেছে, রবিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা এই সংখ্যালঘু কর্মী সমর্থকদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা শেখ গোলাম জারজিস।

বিজেপির দাবি, ধানসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ প্রায় 115 জনের মত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু যেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের পাশে বেশি করে রয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল, সেখানে শাসক দল ছেড়ে কেন এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা হঠাৎ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শেখ রহমত আলী বলেন, “শৃঙ্খলাহীন ও করে খাওয়ার দল তৃণমূল। মারপিট, খুনখারাপির সঙ্গে যুক্ত লোকেরাই তৃণমূলের নেতা হবেন। তাই বিজেপির নীতি-আদর্শের দিকে তাকিয়ে এবং নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের স্রোতে গা ভাসাতেই বিজেপিতে যোগ দিলাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এদিনই বাঁকুড়ার ইন্দাসে শাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশ্বিনপুর ফুটবল মাঠে প্রায় 130 জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। যাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্বপন ঘোষ। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুকুমার সাউ বলেন, “তৃণমূলে থেকে আর উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সাধারণ মানুষের কাজ করতে বিজেপিতে যোগ দিলাম।”

অন্যদিকে বদলা নয় বদল চাই বলে ক্ষমতায় এসে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই তার ওপর সাধারণ মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে সকলেই এখন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি বিষ্ণুপুর জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি স্বপন ঘোষের। তবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এই ঘটনাকে মানতে নারাজ শাসক দল।

তাদের দাবি, মিথ্যে গল্প বানিয়ে বিজেপি শিরোনামে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু যে পক্ষ যে দাবিই করুন না কেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব রয়েছে বলে বিভিন্ন সময় যেভাবে দাবি করা হয়েছে তার সঙ্গে যে বাস্তবের অনেকটাই ফারাক, তা প্রমাণ হয়ে গেল।

আর তাইতো লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর যখন বিজেপির শক্তি রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ গেরুয়া শিবিরে যোগদান করায় ভবিষ্যতের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তাদের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক কতটা অটুট রাখতে পারবে! সেই ব্যাপারে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!