এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও বিভেদ ছড়ানোয় উস্কানি দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ!

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও বিভেদ ছড়ানোয় উস্কানি দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ!

করোনা ইস্যুতে যখন সকলের ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করা উচিত, তখন বিরোধীদের সঙ্গে মতানৈক্য অপেক্ষা সরকারের সঙ্গে বেশি মতানৈক্যে শামিল হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। রাজ্যপালের আসনে বসার পর থেকেই জাগদীপ ধনকার বিভিন্ন বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর এবার করোনা ইস্যুতেও রাজ্য বনাম রাজ্যপালের তরজা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে সব সময়। যা দেখে আশঙ্কা বাড়ছে বিভিন্ন মহলে।

সম্প্রতি রাজ্যপালের তরফে রেশনের দুর্নীতি থেকে শুরু করে টেস্টিং কিট বিভিন্ন বিষয় উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সরকারের বিরোধিতা করা হয়। আর এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও রাজ্যপালের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করে তাকে পাঁচ পাতার চিঠি দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা 14 পাতার চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যালঘু তোষন সহ বিভিন্ন বিষয়ে নজিরবিহীনভাবে তোপ দাগেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

আর এরপরই সরকারের তরফে মৌখিকভাবে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করা হলেও, লিখিতভাবে তার পাল্টা কিছু বলা হয়নি। যার ফলে আশা করা হয়েছিল, এবার হয়ত রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব কমতে শুরু করবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করবার জন্য, ‘রাজ্যপাল ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা করছেন’ এবং ‘বিজেপির মত প্রচার করছেন’ বলে – জগদীপ ধনকরকে চিঠি লিখলেন তৃণমূলের লোকসভার সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, মঙ্গলবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন রাজ্যপাল। যেখানে তিনি বলেন, “বাক চাতুরী নয়। মানুষের সমস্যার দিকে এখন আমাদের নজর দেওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ছুরি শানানোর সময় এখন নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, অজুহাত, বলির পাঁঠা বা দায় এড়ানোর পথ খোঁজা ছেড়ে মানুষের উপকার করার দিকে নজর দিন। রাষ্ট্রের মধ্যে আলাদা রাষ্ট্র হয়ে থাকার মনোভাব অসাংবিধানিক এবং অনুপযুক্ত।”

এদিকে এই ঘটনার পরেই রাজ্যপালকে চিঠি লিখে সরব হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন তিনি লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকারের মন্ত্রীদের বারবার আক্রমণ করে আপনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, আপনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা আছে এবং গোটা দেশ যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন আপনি রাজ্যপাল হিসেবে আপনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজেপির রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত থাকছেন। বিজেপির মতাদর্শ মাথায় রেখে পরোক্ষভাবে রাজ্যের সাম্প্রদায়িকতা এবং বিভেদ ছড়ানোয় উস্কানি দিচ্ছেন।”

আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে এই চিঠি লেখার পরেই পাল্টা তার জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন তিনি লেখেন, “আপনি এবং আপনার জায়গা থাকা অন্যদের বরং মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানো উচিত, যাতে তিনি সংবিধান মেনে চলেন এবং দায় না এড়িয়ে করোনা মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেন। তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে রাজ্যপাল সবসময়ই তৈরি।”

আর সরকার বনাম রাজ্যপালের মধ্যে চিঠি নিয়ে তরজার মাঝেই তৃণমূল সাংসদের রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এবং তার পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে যেভাবে রাজ্যপাল সরব হলেন, তাতে রাজ্যের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সংকটের মুখে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যদি এভাবে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকে, তাহলে আখেরে ক্ষতি হবে বাংলার মানুষের বলে আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞমহল। রাজ্যের শাসকদল বনাম রাজ্যপাল – এই যুদ্ধ এখন কোথায় গিয়ে শেষ হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!