এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অমিত শাহ আসতেই ঠকঠক করে কাঁপছেন ভাইপো! বোকা বোকা আক্রমণ, সোচ্চার বিজেপি!

অমিত শাহ আসতেই ঠকঠক করে কাঁপছেন ভাইপো! বোকা বোকা আক্রমণ, সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতা অনেক বড় বড় কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে নাকি তদন্তকারী সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কারণ তাকে নাকি আটকাতে পারছে না বিজেপি! এ কথা শুনে বিজেপি কর্মীরা হাসবে নাকি গড়াগড়ি যাবে, সেটা তারা নিজেও জানে না। কারণ সদ্য রাজনীতিতে আসা ভাইপোর এই অদ্ভুত কথা শুনে বিজেপি একটাই কথা বলে। কটাক্ষ করে তারা বলেন যে, যে দলের নেত্রী বিজেপির দয়ায় এত বড় জায়গা পেয়েছেন, তার অনভিজ্ঞ ভাইপোর মুখ থেকে এসব কথা মানায় না। তিনি নাকি নরেন্দ্র মোদীকে ভয় পান না, অমিত শাহকে ভয় পান না! কিন্তু সেই অমিত শাহ রাজ্যে আসলেই তিনি তো বটেই, তার পিসিমণিও ঠকঠক করে কাঁপতে শুরু করেন। আর এটা যে অত্যন্ত বাস্তুব, তা স্পষ্ট হয়ে গেল, দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার পরেই। যেদিন থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুবরাজ খবর পেয়েছেন যে, অমিত শাহ বাংলায় পূজা উদ্বোধনে আসছেন, সেদিন থেকেই তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তিনি সেই নাম না করে অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন। যা দেখে বিজেপি বলছে, শাহের ভাইয়ের ঠকঠক করে কাঁপছেন বাংলার যুবরাজ। তাই এই সমস্ত বোকা বোকা কথা বলছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যে এসে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পূজো উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই সময় নিজের সংসদীয় এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “যারা দু’বছর, তিন বছর আগে বাংলার দুর্গাপূজা হয় না বলে মন্তব্য করেছিলেন, তারাই এখন দুর্গা পূজার উদ্বোধন করতে বাংলায় আসছেন।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, অমিত শাহ বাংলায় এসেছেন, তাতেও কি আপত্তি রয়েছে যুবরাজের? তিনি কি ভয় পাচ্ছেন! সেই কারণেই কি দুর্গাপুজোয় অমিত শাহ আসতেই তার গা জ্বলতে শুরু করেছে? অনেকে বলছেন, আসলে তৃণমূল খুব ভালো মতো জানে, তাদের মরণকাঠি এবং জীওনকাঠি, দুটোই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা রয়েছে। সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল এলেই তৃণমূলের অনেক নেতা শ্রীঘর যাত্রা করতে শুরু করবেন। তাই যে করেই হোক সেই অমিত শাহ রাজ্যে আসা মাত্রই তাকে আক্রমণ করার নির্লজ্জ কায়দা অনুসরণ করলেন যুবরাজ বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, বালি, কয়লা, গরু, শিক্ষক নিয়োগ, দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে গোটা তৃণমূল দল। সকলের একটাই দাবি, মাথা কবে ধরা পড়বে? বিজেপিও সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অমিত শাহ আসতেই কম্পন ধরে গিয়েছে তৃণমূলের মধ্যে‌। পিসি- ভাইপো চরম চাপে রয়েছেন। কারণ তারা জানেন যে, তৃণমূলের অনেক গোপন কথা এই অমিত শাহ জানেন। তাই তাকে পাল্টা আক্রমণ করে গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন সর্বভারতীয় ভাইপো। তৃণমূলের এই পাতি নেতাকে মাথায় রাখতে হবে, পশ্চিমবঙ্গটা তাদের কেনা জমিদারি নয়। এখানে যে কেউ আসতে পারে। আর দুর্গা পুজোকেও তারা প্রচলন করেননি। তাই সেই পুজোর উদ্বোধন করতে বাংলায় কে আসবেন, তা নিয়ে কথা বলার মত ক্ষমতা নেই গুণধর ভাইপোর। তিনি তার পিসির আলালের ঘরের দুলাল হতে পারেন। কিন্তু রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি মোটেই গ্রহণযোগ্য নন, এটা তিনি ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নিন। অমিত শাহ রাজ্যে আসায় সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত। তাই ভাইপোর এত বোকা বোকা কথায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সনাতনীরা যে চরম সংকটের মুখে, তা তো নতুন করে বলতে হবে না। আজকে শাস্ত্রকে অমান্য করে মুখ্যমন্ত্রী কি করে পিতৃপক্ষের সময় পুজোর উদ্বোধন করেন! এই একটি প্রশ্নের উত্তর কেন দিতে পারছেন না সর্বভারতীয় যুবরাজ। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুর্গাপূজা উদ্বোধন করতে অমিত শাহ রাজ্যে আসায় তার কেন এত গা জ্বলছে? আজকে দিনের  আলোর  মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, অমিত শাহ তৃণমূলের কাছে প্রবল ভয়ের কারণ। তিনি আসলে তৃণমূল ভয়ে কাঁপতে শুরু করে। যে কারণে আজকে ভাইপোও যা ইচ্ছে তাই বলে গেলেন। এমন সব আক্রমণ তিনি করলেন, যা পরিপক্ক রাজনৈতিক নেতার পরিচয় তো নয়ই। বরঞ্চ অনভিজ্ঞ নেতার মত বোকা বোকা আক্রমণ করে ময়দান মাতানোর চেষ্টা করলেন এই আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!