এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বামেদের দেখানো পথেই মমতা! বড়সড় সর্বনাশ রাজ্যের, গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!

বামেদের দেখানো পথেই মমতা! বড়সড় সর্বনাশ রাজ্যের, গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিগত বাম সরকারের আমলে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আওয়াজ তুলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পরিবর্তন করতে হবে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করেছিলেন রাজ্যের আম জনতা। আজকে সেই বিশ্বাসের মাশুল দিতে হচ্ছে সেই সাধারণ মানুষকেই। গোটা রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুর্তিতে মজে রয়েছেন। রাজ্যের সাধারণ মানুষ যখনই টিভির পর্দা খুলছেন, তখনই দেখতে পাচ্ছেন নয়া দুর্নীতির রহস্য ভেদ হচ্ছে। ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী, এখন সেই দুর্নীতির ছেঁড়া চটিতেই তিনি পা দিয়ে ভাইপোকে সাথে নিয়ে নতুন দুর্নীতি বীজ বপন করতে শুরু করেছেন এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। আজকে সংস্কৃতির বাংলা পরিণত হয়েছে দুর্নীতির পীঠস্থানে। তবে এই সমস্ত কথা অবশ্য আমরা বলছি না। প্রতিমুহূর্তে এই কথা তুলে ধরে সাধারন মানুষকে নতুন তথ্য দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তিনি এমন এক ভয়ংকর কথায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বললেন, যা শুনে শাসকদলের অনেক নেতাদের মনেই তৈরি হয়েছে হতাশা এবং তিক্ততার আবহ।

প্রসঙ্গত, এদিন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে দেন, এই রাজ্যে অর্থের বিনিময়ে সমস্ত জাল সার্টিফিকেট দিয়ে কার্যসিদ্ধি হাসিল করা যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই রাজ্যে অর্থের বিনিময়ে সবকিছু পাওয়া যায়। জাল সার্টিফিকেট, জাল মার্কশিট সবকিছু পাওয়া যায়। বামেরা যে ছেড়া চটিটা ফেলে রেখে গিয়েছিল, সেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা গলিয়ে ভাইপোকে নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি করেছেন। যেখানেই আজকে হাত দেবেন, সেখান থেকেই পচা গন্ধ বেরোবে।” বলা বাহুল্য, শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অনেক নেতা, মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। গরু পাচার দুর্নীতিতেও তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতা জেলের মধ্যে দিন গুণছেন। আগামী দিনে কয়লা, বালি থেকেও অনেক দুর্নীতির সামনে আসবে। রেশন বন্ঠন দুর্নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। যার ফলে অনেক নেতা তো বটেই, রাজ্যের অনেক বড় বড় মাথা এবং মন্ত্রীরাও জেলে যাবেন বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, বামেদের পাঠশালার মেধাবী ছাত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি খুব ভালো করে বামেদের কাছ থেকে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, সন্ত্রাস সমস্ত কিছুকেই রপ্ত করেছেন। তাই পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন, আজকে তারা মাথা কুটছেন। গোটা রাজ্যের মানুষ আজকে আফসোস করে একটাই কথা বলছেন, বামেরা এর থেকে তবুও ভালো ছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন, তাতে এবার বদল আনতেই হবে রাজ্যের মানুষকে। জেগে উঠতেই হবে। তা না হলে যতটুকুও বা বাকি রয়েছে এই বাংলা সংস্কৃতি, সেটাও জলাঞ্জলি দেবে তৃণমূল বাহিনী। তাই দুর্নীতিকে পরাস্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বড় বড় রাঘববোয়ালদের শ্রীঘর যাত্রা দেখতে চায় সাধারণ মানুষ। তা না হলে দুষ্টের দমন আর সৃষ্টির পালন হবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অর্থের বিনিময়ে চাকরি হয়েছে রাজ্যে, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাজ্যে ভুয়ো ডাক্তার, ভুয়ো উকিল, ভুয়ো পাসপোর্টের মত ঘটনাও সামনে এসেছে। বড় বড় মাথার হাত না থাকলে এই ঘটনা কেউ ঘটাতে পারে না। অন্য কোনো রাজ্যে তো এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে না। একমাত্র যে সমস্ত অবৈধ কার্যকলাপ হচ্ছে, তার সবটাই পশ্চিমবঙ্গে। আজকে পশ্চিমবঙ্গকে দুষ্কৃতীরা তাদের নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অর্থ দিয়ে মানুষের মেধাকে নষ্ট করার যে চেষ্টা এই সরকার করছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বড় বিপদজনক। আগামীর কাছে কি বার্তা যাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তিত বিদ্বজ্জনরাও। কিন্তু তারা এখন মোমবাতি নিয়ে মিছিল করতে পারছেন না। কারণ তাদের সেই সৎ সাহস নেই। যার ফলে তাদের নীতি নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে রাজ্যের এখনও সম্পূর্ণ সর্বনাশ হয়নি। কিছুটা দিক এখনও অক্ষত রয়েছে। তাই সেই দিকটাকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে পচা, দুর্গন্ধ জায়গাকে পরিষ্কার করে রাজ্যের মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কাজে নামতেই হবে। আর একটা বদল এনে এই রাজ্যকে সুশাসনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে জনতা জনার্দনকেই। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!