এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অবশেষে মধ্যরাতে বাজিমাত অমিত শাহের! লোকসভায় পাস হয়ে গেল সিএবি

অবশেষে মধ্যরাতে বাজিমাত অমিত শাহের! লোকসভায় পাস হয়ে গেল সিএবি

 

সারাদিন ধরে সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাস নিয়ে প্রবল তরজা চলেছে। বিল পেশ করা হলেও, তা পাস হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল সকলেরই মধ্যে। অবশেষে যখন দেশবাসী শীতের মরসুমে রাতের নিদ্রায় যেতে উদ্যোগী, ঠিক তখনই পাস হয়ে গেল এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।

জানা গেছে, রাত বারোটা নাগাদ এই নতুন বিল পাস করিয়ে নিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। যেখানে বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন 311 জন এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মোটে 80 জন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এনডিএর বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জনতা দল, বিজু জনতা দল, শিবসেনা এআইডিএমকে, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির মত দলগুলিও এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করেছে। যার ফলে লোকসভায় পাস হয়ে যাওয়ায় রাজ্যসভাতেও এই বিল পাস হওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে কেন্দ্রের শাসক দল।

এদিন এই বিল নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে, তখন তা পেশ করে সকলকে অভয় বার্তা দিতে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। সংখ্যালঘু সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই। রেশন কার্ড বা অন্য কোনো নথি থাকলেও আমরা নাগরিকদের গুরুত্ব দেব। এই বিলের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। কিন্তু কেন এই আইন আনতে হয়েছে! কারণ একটাই। 1947 সালে ধর্মের ভিত্তিতে ওরা দেশভাগ করেছিল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারিকে। তিনি বলেন, “1935 সালে আমেদাবাদে সর্বপ্রথম ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের বিভাজনের কথা বলেছিলেন হিন্দু মহাসভার নেতা দামোদর সাভারকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইতিহাসের জ্ঞান থাকা দরকার।” এদিকে এই বিল পেশের সময় বেছে বেছে কেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্থানকেই কোট করা হল! এছাড়াও নেপাল, ভুটান শ্রীলংকা এবং মায়ানমার থেকে আগত বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের কথা কেন বলা হল না! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

বিরোধীদের সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যেহেতু এই তিন রাষ্ট্র ইসলামিক দেশ, তাই এই দেশগুলিতে অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। সেই সংখ্যালঘুদের আশ্রয়দান আমাদের কর্তব্য। ভারতের সঙ্গে 106 কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে আফগানিস্তানের। পাক অধিকৃত কাশ্মীর কি ভারতের অঙ্গ নয়! তার সঙ্গে তো আফগানিস্তানের সীমান্ত আছে।” এদিকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে সেই বিলের কপি ছেড়ে দিতে দেখা যায় হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে।

এদিকে বাংলার তরফ থেকে স্বামী বিবেকানন্দের কথা তুলে ধরে এই বিলের প্রবল বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে যে তারা কোনমতেই এনআরসি হতে দেবেন না, তা এদিন স্পষ্ট ভাষায় সংসদে জানিয়ে দেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। আর এরপরই সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী তার কথা বলতে উঠলেও বারবার বিরোধীদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

যাতে কার্যত অধৈর্য হয়ে অমিত শাহ বলেন, “একটু ধৈর্য ধরুন না। সব বলব রাজনৈতিক ভেদাভেদ, ভোটব্যাংকের জন্য যদি আপনারা চোখ-কান বন্ধ করে রাখেন, অনুরোধ করছি, তা খুলে ফেলুন। দেশের স্বার্থে। সংবিধানই হল মোদি সরকারের একমাত্র ধর্ম।” সব মিলিয়ে দিনভর চাপানউতোর, শাসক-বিরোধী তরজা শেষে অবশেষে মধ্যরাত্রে সংসদে পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!