এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আমপান ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিলেন শিক্ষক! প্রশাসনের বদলে গেল প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার পকেটে!

আমপান ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিলেন শিক্ষক! প্রশাসনের বদলে গেল প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার পকেটে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:  ভয়াবহ দুর্যোগের পর তার আর্থিক সাহায্য নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে অভিযোগ উড়তে শুরু করেছিল। যেখানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য না দিয়ে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ নেতাদের সেই সাহায্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যার জেরে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ সংগঠিত হতে দেখা যায়। অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে তা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া এক শিক্ষকের টাকা নিয়ে নিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। যাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের এই নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভয়াবহ দুর্যোগের পর নন্দীগ্রাম 2 নম্বর ব্লকের আমদাবাদ 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের শিক্ষক চন্দন দাস ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছিলেন। তবে সরকারি চাকরি করায় মানবিকতার খাতিরে তিনি সেই টাকা ফেরত দিতে উদ্যোগী হন। আর এরপরই চন্দন দাস স্থানীয় তৃনমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হিমাংশু জানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু এখানেই অভিযোগ উঠেছে যে, চন্দনবাবু যখন এই টাকা প্রশাসনকে ফেরতের উদ্যোগ নিয়েছেন, তখন হিমাংশু জানা নামে ওই তৃনমূল নেতা তাঁর কাছ থেকে 20 হাজার টাকা দাবি করেন।

এদিকে তৃণমূল নেতার এহেন কান্ড দেখেই লিখিতভাবে তিনি যাতে এই টাকা চান, তার আর্জি জানান শিক্ষক চন্দন দাস। সেই মত ওই তৃনমূল নেতা স্ট্যাম্প পেপারে 20 হাজার টাকা গ্রহনের কথা স্বীকার করে নেন। আর এখানেই সেই তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এক পঞ্চায়েত সদস্য কিভাবে সরকারের এই ক্ষতিপূরণের টাকায় থাবা বসাতে পারেন? যেখানে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, দুর্নীতি থেকে সবাই দূরে থাকুন, সেখানে তৃনমূল নেতার কানে কেন সেই কথা পৌঁছলো না? এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তো শাসকদল দুর্নীতির বিদ্ধজালে আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়তে শুরু করবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষক চন্দন দাস বলেন, “আমি বিডিও অফিসে টাকা ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু ওই পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে বিডিও অফিসে টাকা ফেরত দিতে মানা করেন।” কেন তিনি সরকারকে ফেরত দেওয়া টাকা নিজে নিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃনমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হিমাংশু জানা বলেন, “বিষয়টা ঠিক বুঝতে পারিনি। আসলে যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, অথচ টাকা পাননি, তাদের ওই ফেরতের টাকা বিলিয়ে দেব ভেবেছিলাম। বুথ থেকে দলগতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই টাকা নিয়েছি।”  সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতার টাকা আত্মসাতের ঘটনা এখন শাসকদলকে কতটা অস্বস্তিতে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!