এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের দল থেকে সাহায্য করতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের বচসা, মারপিট! বাড়ছে অস্বস্তি

আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের দল থেকে সাহায্য করতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের বচসা, মারপিট! বাড়ছে অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরের গত ২০ সে মেয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রবল ঝড় আম্ফান। বহু মানুষ এই ঝরে নিজেদের বাসস্থান হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। এরপর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থান মেরামত করতে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে। ঝরে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বারবার বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের আনুকূল্যে এমন বহু মানুষ ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন এই ঝড়ে যাদের বাসস্থানের আদৌ কোনো ক্ষতি হয়নি। তুলনায় যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষতিপূরণের অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ব্লকের নন্দীগ্রামের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর গ্রামে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের শাসক দলের দলীয় তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছিল। শাসক দলের এই ক্ষতিপূরণ দানকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে ব্যাপক মারামারিও ধস্তা-ধস্তি ঘটতে দেখা গেল।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অম্ফান ঝড়ে যাদের বাসস্থান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বহু মানুষ আছেন যারা ঝড়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ সাহায্য পাননি । শেষ পর্যন্ত শাসক দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দানের চেষ্টা করা হয় বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ১৮৫ জন ক্ষতিগ্রস্থের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে কুপন দেওয়া হয়। সেই কুপন নিয়েই গতকাল তৃণমূলের পার্টি অফিসে উপস্থিত হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা কুপন পিছু ক্ষতিগ্রস্তদের ৪০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুপন দেখে এভাবে ক্ষতিপূরণ দানের সময় বাহাদুর গ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসে স্নেহাশিস জানা নামে এক ব্যক্তি উপস্থিত হন অকস্মাৎ। তিনি কুপন না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে। এরপর তৃণমূল সদস্যরা তাঁকে রীতিমতো মারধর করেছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন। বাবাদুর গ্রামের তৃণমূল পাটি অফিসে স্নেহাশিস জানা দাদা ও অন্যন্য কিছু ব্যক্তি উপস্থিত হলে পারস্পরিক বচসা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। শেষপর্যন্ত বাহাদুর গ্রামের পার্টি অফিসে বচসা ও গন্ডগোলের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন নন্দীগ্রাম ব্লকএর তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল।ব্লক সভাপতির উপস্থিতির পর বিবাদ আরও বৃদ্ধি দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই পারস্পরিক বচসা ও ধস্তাধস্তি সম্পর্কে নন্দীগ্রাম ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল জানিয়েছেন যে, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু মানুষ ঝড়ের ক্ষতিপূরণ পাননি বলে, তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদেরকে তৃণমূল দলের তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ইটা করতেই তারা মোট ১৮৫ ক্ষতিগ্রস্থের বাড়ি গিয়ে কুপন পাঠিয়ে ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্তরা এই কুপন নিয়ে তৃণমূল পাটি অফিসে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখান থেকে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছিল। এ বিষয়ে বিরোধীদল সিপিএমকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেছেন, ” এক সময় সিপিএম করা কিছু লোক এসে ওই কাজ পণ্ড করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেটা ওরা পারেনি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!