এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আপনাদের কাছে অপপ্রচার করছে, চক্রান্ত করছে – আপনাদের ঠিক পথে আনা আমাদের কাজ: মুখ্যমন্ত্রী

আপনাদের কাছে অপপ্রচার করছে, চক্রান্ত করছে – আপনাদের ঠিক পথে আনা আমাদের কাজ: মুখ্যমন্ত্রী


১৯’এর বিগ্রেড সমাবেশের প্রচারকে টার্গেট করেই দুদিনের জেলা সফরে পশ্চিম মেদিনীপুরে পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা করলেন আদিবাসী অধ্যুষিত কেশিয়াড়িতে। এই পঞ্চায়েত এলাকাতেই এবার পঞ্চায়তে নির্বাচনে বিজেপি ঝড়ে কুপোকাত তৃণমূল। তাই পদ্ম উপড়ে ফের জোড়াফুল ফোটাতে কেশিয়াড়িতেই সভা করার সিদ্ধান্ত নেত্রীর,এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

আদিবাসী থেকে শুরু করে দলিত, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রয়োজনে পাশে রয়েছে তৃণমূল,এমনটাই সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জেলাবাসীকে বার্তা দিলেন নেত্রী। প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেই বললেন,দলীয় নেতারা ঠিকমতো পরিষেবা দিতে পারে নি বলেই কেশিয়াড়ির মানুষ জোড়াফুলে ছাপ দেননি।

ওইসমস্ত দায়িত্বহীন নেতাদের দল থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলেই এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেন নেত্রী। সঙ্গে স্থানীয় মানুষজনদের সতর্ক করতে বলেন,’মনে রাখবেন, আপনাদের কেউ ভুল বোঝাতে পারে। সেটা আপনাদের দোষ নয়। আপনাদের কাছে অপপ্রচার করছে তারা। চক্রান্ত করছে। আপনাদের ঠিক পথে আনা আমাদের কাজ। রাজ্য সরকারের যত উন্নয়ন স্কিম আছে সব সুবিধা পাবেন আপনারা।’

আসলে কেশিয়াড়িবাসীকে আগামী লোকসভা ভোটের জন্যে তৃণমূলের দিকে টানতে দলীয় কর্মীদের উপর দোষের বোঝা চাপাতেও দ্বিধা করলেন না নেত্রী। আমজনতার মন পেতে এটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কৌশল হিসাবেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

মঞ্চ থেকে সরকারি পরিষেবা প্রদান করতো গিয়ে নেত্রী তুলে ধরেন রাজ্যসরকারের ভাবমূর্তিকে। জানালেন,পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে ২০টা কর্মতীর্থ তৈরি হয়েছে। আদিবাসীদের জন্য বিমা চালু করেছে তৃণমূল সরকার। জেলায় ৯টি আইটিআই হয়েছে। কেন্দুপাতা তোলার রেট দ্বিগুণ হওয়ার পাশাপাশি নয়াগ্রাম-কোশিয়াড়ি সেতু হয়েছে। গোটা জেলা জুড়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ৩৪ বছরের বামশাসনে হয়নি বলেই দাবী নেত্রীর।

তবে শুধু শাসকদলের পরিষেবার কথাই নয়,সঙ্গে বিজেপির সমালোচনাতেও মুখর হলেন নেত্রী। বললেন,বিজেপি নেতারা দিল্লি থেকে এসে রাজ্য বিভেদের রাজনীতিকে উস্কে দিয়ে যায়৷ রাজ্যকে অশান্ত করে তোলে। কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নে বিজেপির কোনো অবদানই নেই।

গেরুয়াশিবির কর্তাদের ‘বসন্তের কোকিল’ বলেও কটাক্ষ করে নেত্রী বললেন,’আমরা বিজেপিকে সম্মান করি না। টোটালটাই নাটক। টোটালটা রাবণযাত্রা। রাবণবধ রাজনীতির মধ্যে দিয়েই করা হবে। আমরা তৈরি। আরবিআই থেকে সিবিআইতে বিজেপির সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। ঐতিহাসিক জায়গার নাম বদলে দিয়েছে। এ বিজেপিকে ভারত ছাড়া করব।’ অর্থাৎ ১৯ এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করবে তৃণমূল,এমনটাই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন নেত্রী।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রশাসনিক সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, এক গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে জঙ্গলমহল এবং দুই বর্ধমানের পর মেদিনীপুরে পাড়ি দেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চি মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান করেন এদিন। মঙ্গলবার প্রশাসনিক সভা করে ফিরবেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য দুই মেদিনীপুরকে ঢেলে সাজানো হয়েছে জেলা তৃণমূলের তরফ থেকে। এদিন দুপুরে কেশিয়াড়িতে কুচলাচাটির ময়দানে হেলিপ্যাডে নেত্রী নামতেই তাকে এক ঝলক দেখার জন্যে মানুষের ভীড় ছিল দেখার মতো। নিজের হাতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দানের পাশাপাশি একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!