এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশে কিভাবে ভোট বাড়িয়ে বিপুল জয় আসবে সেই ‘গোপন মন্ত্র’ কর্মীদের শিখিয়ে দিলেন অনুব্রত মন্ডল

একুশে কিভাবে ভোট বাড়িয়ে বিপুল জয় আসবে সেই ‘গোপন মন্ত্র’ কর্মীদের শিখিয়ে দিলেন অনুব্রত মন্ডল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জয়ের হ্যাটট্রিক করতে শাসক দলের নেতাকর্মীরা উঠে পড়ে লেগেছেন। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও এ ব্যাপারে হাত গুটিয়ে বসে নেই। একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলকে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে।

প্রসঙ্গত পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রটি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু দেড় মাস আগে শাসক দল তৃণমূলের দলীয় সংগঠনে কিছু পরিবর্তন আসায় পর্যবেক্ষক পদের অবসান ঘটানো হয়, তার পরিবর্তে কয়েকটি বিধানসভার নির্দিষ্ট কিছু এলাকার জন্য একজন করে কোঅর্ডিনেটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তৃণমূল দলের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে, এবার কি তবে আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম বিধানসভার সাংগঠনিক কতৃত্ব অনুব্রত মণ্ডলের হস্তচ্যুত হতে চলেছে? কিন্তু সমত সমস্ত জল্পনা-কল্পনার রাশ টেনে কেতুগ্রাম, আউস গ্রামে একাধিক বুথ স্তরীয় কর্মিসভার আয়োজন করলেন অনুব্রত মন্ডল। পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিলেন, এই তিন বিধানসভার সাংগঠনিক মূল কতৃত্ব এখনও তাঁর হাতেই ন্যস্ত আছে।

গতকাল মঙ্গলবার আউশগ্রামের ১,২ নম্বর ব্লকে বুধ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত করলেন অনুব্রত মণ্ডল। আউসগ্রাম এর ২ নম্বর ব্লকের অমরপুরে প্রথম কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো । এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বুথে গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির কাছে পিছিয়ে পড়েছিল। এই সমস্ত পিছিয়ে পড়া বুথগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল কর্মীদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, ” যারা বিজেপি বা সিপিএমে রয়েছে তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে দলে নিয়ে আসতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে উন্নয়নের দিক তুলে ধরে নেত্রীকে বিপুল ভোটে জেতাতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের এই বুথ সম্মেলনে বিষ্ণুপুর গ্রামের ১০ নম্বর বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল কর্মী মণিরুল ইসলামকে অনুব্রত মণ্ডল প্রশ্ন করলেন যে, তাঁর এই বুথে মোট ভোটার সংখ্যা কত? এর উত্তরে তিনি জানান, সে বুথের মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭৬ জন। এরপর অনুব্রত মন্ডল তাঁকে ওই বুথের লিডের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তিনি জানাবে বলেন, লিড ৫২৭। তাঁর এই উত্তর শুনে অনুব্রত মন্ডল বলেন, ” আর যেন বাড়িও না বাবা। একদম বাড়িও না। তাহলে ভোট বাতিল হয়ে যাবে।” অনুব্রত মন্ডলের এই রসিকতায় সভাস্থলে ওঠে হাসির রোল । এর সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা মূলক কাজকর্ম নিয়ে তিনি বারবার সতর্ক করে দিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের। তিনি বারবার সতর্ক করেছেন, সাধারণ মানুষের সমস্ত সমস্যার ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে ও এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিতে ।

অন্যদিকে অমরপুর অঞ্চলের একটি আদিবাসী পাড়ার জনগণ তৃণমূলের উপরে কেন রুষ্ট সে ব্যাপারে তিনি দলের কর্মীদের প্রশ্ন করলেন। জনৈক তৃণমূল কর্মী এ প্রসঙ্গে জানান, ওই আদিবাসী পাড়ার টিউবওয়েলটি দীর্ঘসময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে থাকায়, সে স্থানে পানীয় জলের খুব সমস্যা। এ কথা শুনে অনুব্রত মন্ডল অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলী প্রধান ইবাদত শেখকে সত্বর এই সমস্যা সমাধানের আদেশ দিয়ে বললেন, ” ৭ দিনের মধ্যে ওই কলগুলি মেরামতের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমি আর কোনও অজুহাত শুনতে চাই না।”

গতকাল অমরপুর অঞ্চলের বুথ কর্মী সম্মেলন শেষে তিনি রামনগর অঞ্চলের বারোসতী ডাঙ্গার প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় বুথ ভিত্তিক কর্মী সভার আয়োজন করলেন। প্রসঙ্গত, গতকালের এই কর্মী সভা মঞ্চ থেকে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ‘ছাগল’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!