এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল উত্তরবঙ্গ! ভাংচুরের হাত থেকে রক্ষা পেল না অ্যাম্বুলেন্সও!

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল উত্তরবঙ্গ! ভাংচুরের হাত থেকে রক্ষা পেল না অ্যাম্বুলেন্সও!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে মুখ্যমন্ত্রী বারবার শাসক দলের নেতাকর্মী তথা সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলবার নির্দেশ দিয়েছেন। শাসকদলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরও ঐক্যবদ্ধতার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এতকিছুর পরও অন্তর্দ্বন্দ্ব কিছুতেই দূর করা যাচ্ছে না, শাসকদলের অন্দর থেকে। রাজ্যের স্থানে স্থানে অশান্তি, মতভেদ, সংঘর্ষ দেখা দিচ্ছে শাসকদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীর মধ্যে। কখনো শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দেখা যাচ্ছে মারামারি, বোমাবাজি, গোলা-গুলির মত ঘটনা। সম্প্রতি কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জে দেখা দিল তৃণমূল দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় তুফানগঞ্জের অঞ্চল সভাপতি ফারুক মণ্ডলের বাড়িতে তাঁর অনুগামী বেশকিছু তৃনমূল সদস্য একত্রে মিলিত হয়েছিলেন। সেখান থেকে তারা যখন স্থানীয় চুলকানি বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন, সে সময় তাঁদের ওপর অকস্মাৎ চড়াও হয় তৃণমূল দলেরই অপর এক গোষ্ঠী। এরপর শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ, হাতাহাতি। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এর অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক মারামারি, ধস্তাধস্তি। শাসক দলের এই দুই পক্ষের পারস্পরিক সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তুফানগঞ্জ এর এই এলাকা। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষেরই বেশ কিছু সদস্য আহত হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের তোলা হয় এম্বুলেন্সএ। এরপর এই এম্বুলেন্সএও ভাঙচুর চালানো হয়। শাসকদলের এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শেষপর্যন্ত, পুলিশের চেষ্টায় দীর্ঘ সময় পর এই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনার পর একবেলা বেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হতে পারিনি। এখনো একটা সন্ত্রাসের পরিবেশ রয়েছে এলাকার মধ্যে। প্রসঙ্গত কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘকালের। এর পূর্বেও তৃণমূলের পরস্পর বিবাদমান এই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তারক্তির কাণ্ড ঘটেছে। যার জেরে উৎপীড়িত হয়েছে তুফানগঞ্জ।

প্রসঙ্গত একদিকে যখন শাসকদলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে সদস্য সংগ্রহ করে শাসকদলের উদরপূর্তির প্রচেষ্টায় ব্যস্ত, সেই আবহে শাসক দলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল, অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে পিকের এই প্রচেষ্টার উপরেই প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিচ্ছে বলে অনেকের অভিমত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!