এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > নজরবন্দি থাকলেও স্বমহিমায় ছিলেন অনুব্রত – জেনে নিন

নজরবন্দি থাকলেও স্বমহিমায় ছিলেন অনুব্রত – জেনে নিন

বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে নকুলদানা খাওয়ানোর দাওয়াই দিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যা নিয়ে বরাবরই বীরভূমকে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা হিসেবে তুলে ধরে এখানকার নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিটি বুথেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় তার জন্য আবেদন করেছিল বিরোধীরা। সেইমতো আজ সেই বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন প্রায় 99 শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

পাশাপাশি যে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ বিরোধীদের, সেই অনুব্রত মন্ডলের ওপরও নজরদারি রেখেছে কমিশন। পাশাপাশি তার ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অফিসে কার্যকর্তাদের ফোন করে কেমন ভোট হচ্ছে তার খোঁজ খবর নেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সেই ফোন কেড়ে নেওয়া এবং তার ওপর কমিশন বাড়তি নজরদারি রাখায় তিনি কি করে তার ভোট মেশিনারিকে কাজে লাগাবেন তা নিয়ে প্রথম থেকেই কিছুটা হলেও সংশয় ছিলেন জেলা তৃণমূলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা।

তবে অনুব্রত যে রয়েছেন অনুব্রততেই, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল এদিন। সূত্রের খবর, আজ যখন ভোট পর্ব চলছে, ঠিক তখনই সারাদিন জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। নিজের ফোন না থাকলেও পার্টি অফিসের ল্যান্ডলাইন ফোন থেকেই বিভিন্ন জায়গার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন তিনি। আর এই ফোনে কথা বলার সময়ই চেনা মেজাজে দেখা যায় তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দেখা গেছে, একটি ফোনে তিনি বলছেন “তাড়াতাড়ি হাত চালা”। এতেই সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন কি কারণে, আর কাকেই বা তিনি হাত চালানোর কথা বললেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “গরমে যাতে মানুষ কষ্ট না পান তাই ভোট তাড়াতাড়ি করার কথা বলেছি। জেলা জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আমি কোনো নজরবন্দি মানি না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে লড়াইয়ে নকুলদানাই জিতছে।”

অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনার খবর পাওয়া গেলে এদিন সেই প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা উড়িয়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বাড়তি নজরদারি কিংবা মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া – বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যে তার অবস্থান থেকে একচুলও নড়বেন না তা ফের দলীয় কার্যালয় থেকে বসে ভোট নিয়ন্ত্রণ করে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সৈনিক বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!