অপরিকল্পিত টিকাকারণ কি বিপদকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে? কি জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট? জানুন বিস্তারিত অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য June 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এখনো অনেকটাই রয়েছে, যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। আবার করোনার টিকা নিতে গিয়েও যথেষ্ট ভোগান্তি সইতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে বহু স্থানে বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিকাকরণ। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ নিয়ে এক বিশেষ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। যেখানে টিকাকরণ নিয়ে বহু সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। অপরিকল্পিত টিকাকরণ থেকে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে, বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এক রিপোর্ট পেশ করেছেন আইপিএইচএ, আইএপিএসএম, আইএই বিশেষজ্ঞরা। যে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সকলকে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দিতে গেলে সমস্যা দেখা দেবে। এতে একদিকে যেমন ভ্যাকসিনের অভাব তৈরি হবে, অন্যদিকে সহজেই করোনা ছড়িয়ে পড়বে। ভ্যাক্সিনেশন সম্পূর্ণ না হলে তা থেকে নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন সহজেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে, ফলে তীব্রভাবে বাড়বে করোনার সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, সম্প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না। এর জন্য স্থানীয় স্তরে সার্ভে করার প্রয়োজন আছে। এই সার্ভে থেকে জেলাস্তরে ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। যে সমস্ত ব্যক্তি করোনামুক্ত হয়েও দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। আবার করোনামুক্তদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরেও নজর রাখা প্রয়োজন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অস্ত্র হলো ভ্যাকসিন। কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে এই অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। উপযুক্ত পরিকল্পনা করেই এর ব্যবহার করতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে দেশে। তবে, এখন মৃত্যুকে রোধ করা সবথেকে বেশি জরুরি। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, করোনার পরীক্ষা আরো বাড়াতে হবে। বিশেষ করে গ্রাম ও মফস্বল অঞ্চলে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাঁরা জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তরা ধরা পড়ছে না, যার ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হলে তার সমস্ত তথ্য আরটিপিসিআরের অ্যাপে লিপিবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কারা ভ্যাকসিন পেলেন? তা সহজেই জানা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হলেন ৯১ হাজার ৭০২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৮০ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪০৩ জন। আপনার মতামত জানান -