এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হঠাৎ করে ছেঁটে ফেলতেই তৃণমূলের অন্দরে নানা কারণ নিয়ে গুঞ্জন শুরু!

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হঠাৎ করে ছেঁটে ফেলতেই তৃণমূলের অন্দরে নানা কারণ নিয়ে গুঞ্জন শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বৈশালী ডালমিয়ার পর এবার তৃণমূলের আরেক হেভিওয়েট নেতা এবার বহিষ্কৃত হলেন। পাশাপাশি তৃণমূলের সমস্ত সভায় যোগদান করা থেকে তাঁকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, নদীয়া জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির পদ থেকে সোমবার হঠাৎ করেই পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিলেন সভাপতি মহুয়া মৈত্র। ইতিমধ্যে এই ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য।

রানাঘাট পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে এদিন মহুয়া মৈত্র চিঠি দিয়ে বহিষ্কৃত করলেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতা পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দলের সাথেও দূরত্ব বজায় রাখছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। পাশাপাশি গুঞ্জন উঠেছিল, তিনি হয়তো খুব শীঘ্রই গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে চলেছেন। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতা পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পার্থবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে দল বিরোধী কাজের জন্য সরানো হয়েছে বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে কিন্তু তাঁকে কোনরকম শোকজের নোটিশ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বাণী কুমার রায় জানিয়েছেন, নদীয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া মৈত্র যা কিছু করেছেন, বুঝে শুনেই করেছেন। নির্বাচনের আগে সব থেকে জরুরি দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করা আর সে কারণে দল যদি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে কিছু বলার নেই। দলের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিস্কৃত করার পর এবার রানাঘাট পুরসভার প্রশাসক পদ থেকেও পার্থসারথিবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে নদীয়া জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানতে পেরেছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশকিছু নেতাকর্মীদেরও বিজেপিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অতএব ফাটল ধরানো নেতাদের কোনমতেই আর রাখতে রাজি নয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সে কারণেই পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় এর কাছে পৌঁছে গেল বহিষ্কারের চিঠি। আপাতত এই ঘটনা নিয়ে আগামী বেশকিছুদিন যে বাংলার রাজনীতি উত্তাল হবে, সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের এবার সাবধানী হয়ে উঠছে রাজ্যের শাসক দল। দলের ভাঙন রুখতে মরিয়া তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!