এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করলেই নাকি দিল্লি শাসন করা যাবে! নতুন দাওয়াই নিয়ে ময়দানে মদন!

মমতাকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করলেই নাকি দিল্লি শাসন করা যাবে! নতুন দাওয়াই নিয়ে ময়দানে মদন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নেপথ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের ঘোষণা। এক পক্ষে অধিকারী পরিবারকে কোণঠাসা করতে এবং শুভেন্দু অধিকারীর গড়কে নিজেদের দখলে রাখতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সেনা মদন মিত্র কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন, নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 100000 ভোটে না জিতলে তিনি নিজের হাত কেটে ফেলবেন। যথারীতি এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।

আর এদিন একই বিষয় নিয়ে তিনি পুরুলিয়ার কাশীপুর থেকে দলীয় সভায় মুখ খুললেন। বরাবরই মদন মিত্র তৃণমূলের বিশ্বস্ত সেনা হিসেবে পরিচিত। এদিন তিনি একইভাবে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় পুরুলিয়ার মাটি থেকে বক্তব্য রাখলেন। এদিন মদন মিত্র জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর আবেদন রেখেছিলেন। পাশাপাশি তিনি নেত্রীর কাছে জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে কামারহাটি থেকে দাঁড় করানোর জন্য। যদিও তাঁর আগেই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করেছিলেন। অন্যদিকে মদন মিত্র এদিন তাঁর চ্যালেঞ্জ নিয়ে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে দেড় লাখ ভোটে না দুই লাখ ভোটে জিতবেন, এখন সেটাই মূল প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলস্বরূপ মদন মিত্রের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সভাস্থল করতালিতে ভরে যায়। অন্যদিকে মদন মিত্র এদিন অধিকারী পরিবারের সঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের তুলনা টানেন এবং তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের মধ্যে তিনি শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবারে পাঠিয়ে সেখান থেকে জেতার চ্যালেঞ্জ দেন। কিন্তু কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের পাঁচজন সদস্য, তার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে ক্ষমতায় রয়েছে চারজন। এখানেই পরিবারতন্ত্রের বিতর্কের সূত্রপাত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে মদন মিত্র এদিন জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী তাঁর লড়াইয়ের ময়দান হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ।

এ প্রসঙ্গে মদন মিত্র এদিন বলেন, আগে শহর থেকে গ্রামকে শাসন করার রীতি ছিল। তবে সেই রীতি তৃণমূল নেত্রী বদল করতে চলেছেন। আর এবার নন্দীগ্রাম থেকে ইতিহাস বদলাবে। একই সূত্রে তিনি বাংলা থেকে দিল্লি শাসনেরও ডাক দেন এদিন। একুশের বিধানসভার নির্বাচনী লড়াই ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি দুই দলের হেভিওয়েট নেতারা একইভাবে আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। তাতে রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী উত্তেজনা যে আরও বেড়ে চলেছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। পাশাপাশি নির্বাচনী মানচিত্রে নন্দীগ্রাম নিয়ে যে আলাদা লড়াই চলছে যুযুধান দুই রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে, সে কথা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!