এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > আরো একবার রাজ্য প্রশাসনের বিরোধীতায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, চড়ছে পারদ

আরো একবার রাজ্য প্রশাসনের বিরোধীতায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, চড়ছে পারদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বরাবরই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অর্থাৎ প্রশাসনের সংঘাত দেখেছে বাংলা। বিভিন্ন বিষয়ে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কিছুদিন বিরতির পর আরো একবার সঙ্ঘাত চরমে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ  বাক্য পাঠ করানোকে কেন্দ্র করে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। সেই সমস্যার পর সম্প্রতি উপ-নির্বাচনে জয়ী চার বিধায়ককে শপথ দেওয়ানো নিয়েও জটিলতা তৈরি হয় রাজ্যপালের নির্দেশে।

এই নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, সে সময় আরো একবার রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সম্প্রতি বাংলায় বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। আর তাই নিয়েই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল চূড়ান্ত আপত্তি প্রকাশ করেছে। কার্যত তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা চলছে বাংলায়। শুধু তাই নয়, বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি এক্তিয়ার বহির্ভূত বলেও তৃণমূল জানিয়েছে। আর তাই নিয়ে বিধানসভায় সদ্য একটি প্রস্তাব পাস করানো হয়েছে। কার্যত এই প্রস্তাবে বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু শাসকদলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি বিধায়করা প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ইতিমধ্যে।

অন্যদিকে এই প্রস্তাব পাশ করানোর পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবার চেয়ে পাঠালেন। কিসের ভিত্তিতে বিএসএফের বিরোধিতা করে প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে, সেই তথ্যই আসলে তলব করা হয়েছে। কার্যত এই প্রস্তাব পাশ কত ভোটাভুটিতে হয়েছে? বা প্রস্তাবে কি বলা হয়েছিল? কারা বক্তা ছিলেন? তাঁদের বক্তব্য কী ছিল? এই সংক্রান্ত পুরো বিষয়টি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানতে চেয়েছেন বলে খবর। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। এমনকি তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেটি প্রকাশ্যে এনেছেন এবং সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের এই পদক্ষেপ কার্যত আরো একবার সংঘাত তৈরি করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে। অন্যদিকে শাসকদলের 2 বিধায়ক সম্প্রতি সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ এনেছেন। আর তাই নিয়েও জগদীপ ধনকর তথ্য জানতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে বিএসএফ ইস্যু নিয়ে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শাসকদল তৃণমূলের দাবি, বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। যদিও বিজেপি আবার পাল্টা দাবি জানিয়েছে, সীমান্তে চোরাকারবারিসহ অন্যান্য জালিয়াত ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সঠিক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাত দেওয়া হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদিও তার উত্তর এখনো আসেনি। তবে এ মাসের শেষে আরো একবার দিল্লি যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলেই শোনা যাচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর সামনে সরব হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে প্রশাসনের তরফ থেকে কি জবাব দেওয়া হয়, সে দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!