এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > আশঙ্কার মধ্যেও আশার আলো! করোনা মুক্তিতে বিশ্বকে পথ দেখাবে ভারতই – জানিয়ে দিল WHO

আশঙ্কার মধ্যেও আশার আলো! করোনা মুক্তিতে বিশ্বকে পথ দেখাবে ভারতই – জানিয়ে দিল WHO


করোনা সংক্রমনের তৃতীয় পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাকে আয়ত্তে আনার জন্য প্রায় সারা দেশজুড়েই শুরু হয়েছে লকডাউন। সূত্রের খবর, বিশ্বের নতুন নতুন দেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তার সাথে ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ইতালিতে পরিস্থিতি বেশ জটিল বলে খবর। অন্যদিকে ভারতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও করোনা নিয়ে পুরোদমে প্রচার চলছে।

যদিও এই প্রচারের কোনটা ঠিক কোনটা ভুল তা বোঝা দায়। তবে ভারতে করোনা নিয়ে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্যেই আশার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা মাইকেল জে রায়ান। তিনি জানান, এর আগেও ভারতবর্ষে স্মলপক্স বা পোলিও মহামারীর আকার ধারণ করেছিল। সে সময় ভারত এই মহামারীর মোকাবিলা করেছে সফলতার সঙ্গে। এবারেও সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা সংক্রমণ রুখে দেবে ভারত। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘ভারতে কোভিড ১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভারত খুবই জনবহুল দেশ। ওই দেশ এর আগে দু’টি মহামারীর মোকাবিলা করেছে। সুতরাং এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা ভারতের আছে।’

একই সঙ্গে তিনি করোনা ভাইরাস সঠিকভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভারতবর্ষে যে আরো ল্যাবরেটরী প্রয়োজন আছে সে কথা জানাতে ভোলেননি। এই মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন 3 লক্ষ 72 হাজার 557 জন। তাঁদের মধ্যে 16 হাজার 312 জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ মৃত্যুর পরিমাণ আক্রান্তের 4 শতাংশের কিছু বেশি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলা করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ইতিমধ্যে 1 লক্ষ 1 হাজার 371 জন।

আক্রান্ত এবং সুস্থ রেশিও বার করলে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তের হিসেবে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিমাণ 27 শতাংশের কিছু বেশি। অর্থাৎ প্রতি চারজন আক্রান্তের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে উঠছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম লক্ষ্য করা গেছিল চীনের ইউহান প্রদেশে। সেখান থেকে সারা বিহ্বে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। যদিও চীনে অবশ্য সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। জানা গেছে, চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন 81 হাজার 93 জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে 72 হাজার 703 জন। মারা গেছে 3 হাজার 270 জন। অন্যদিকে, ইতালিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল 63 হাজার 927 জন। এদের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে 7 হাজার 432 জন। ইতিমধ্যে ইতালিতে এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 6 হাজার 77 জনের। এছাড়া ইরানেও মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়েছেন 8 হাজার 376 জন। একইভাবে স্পেনে করোনা ছুঁলেও সুস্থ হয়েছেন 3 হাজার 355 জন ও দক্ষিণ কোরিয়াতে সুস্থ হয়েছেন 3 হাজার 166 জন এবং ফ্রান্সে এখনো পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন 2 হাজার 200 জন।

অতএব করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দিনকে দিন বেড়ে চলেছে, সে দিক দিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও ক্রমশ বাড়ছে। যা নিয়ে রীতিমতো আশাবাদী বিশ্বের তাবড় চিকিৎসকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছে, সচেতনভাবে একে অপরের সাথে মেলামেশা বন্ধ করলে তবেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকানো যাবে এবং যেসব দেশ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা মেনে চলে ক্রমশ সুস্থ হচ্ছেন। ভারতে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 471 জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন 34 জন।

প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া রুখতে ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। যান চলাচল প্রায় বন্ধ। পণ্যবাহী রেল বাদ দিয়ে সমগ্রদেশের রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বেশ কিছুদিন আগেই বন্ধ করা হয়েছে ভারতে। বারংবার সাধারণ মানুষকে হুঁশিয়ার করা হচ্ছে, ঘর থেকে না বেরোনোর জন্য। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখলে তবেই মিলবে করোনার হাত থেকে পরিত্রাণ।

সে কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি বারংবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বলা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই ভারত করোনা ভাইরাস এর হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে চলেছে। এমনিতেই করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষ মারাত্মক আতঙ্কে ভুগছে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের নিবেদন আতঙ্কে না ভুগে সতর্ক থাকুন। একমাত্র সচেতন পরিস্থিতিতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দূর করা যাবে। করোনার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানীরা একের পর এক সাবধানবাণী দিয়ে চলেছেন ক্রমাগত। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন- কবে মিটবে এই করোনার সংক্রমণ? কবে স্বাভাবিক হবে দেশের পরিস্থিতি?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!