এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > প্রয়োজনীয় সংখ্যা থাকলেও ‘সময়াভাব’ দেখিয়ে বিধানসভায় অনাস্থা আলোচনাই করতে দেওয়া হল না!

প্রয়োজনীয় সংখ্যা থাকলেও ‘সময়াভাব’ দেখিয়ে বিধানসভায় অনাস্থা আলোচনাই করতে দেওয়া হল না!

ফের উত্তেজনা ছড়ালো রাজ্য বিধানসভায়। এবার পূর্বঘোষণা মত অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েও তা নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়ল বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভার চলতি অধিবেশনে রাজ্যের শবর মৃত্যু, ডেঙ্গু, আইসিডিএস কর্মীদের ভাতা বিভ্রান্তি, সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশন, নেতাজির জন্মদিনকে দেশপ্রেম হিসেবে ঘোষণা, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবনতি, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর মতো বিভিন্ন ইস্যুগুলি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে একটি দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব জমা দেন বিরোধীরা।

তবে গত সোমবার পর্যন্ত এই বিষয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের কোনও সুযোগই দেননি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই গতকাল সকালে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সহ বাম কংগ্রেসের একাধিক বিধায়কেরা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সেখানে দু’পক্ষের মোট 37 জন বিধায়ক সমর্থন করে প্রস্তাবটি আলোচনা করার দাবি জানান।

এদিকে বিরোধীদের এই অনাস্থা প্রস্তাব যথেষ্ট সংখ্যক সমর্থন থাকায় গৃহীত হয়েছে বলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করলে শেষ পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস দুই পক্ষই বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকে। কিন্তু এরপরই বেধে যায় তীব্র গন্ডগোল। অধিবেশনে অনিক কর্মসূচি থাকায় অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার সময় হবে না বলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানালে তা নিয়ে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন বামেদের সুজন চক্রবর্তী, আনিসুর রহমান এবং কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী, অসিত মিত্রর মত বিধায়কেরা।

কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এই তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু করে দেন তারা। আর এরপরই বৈঠক বয়কট করে বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর সময় এই ব্যাপারে অধ্যক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। আর তখনই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে পূর্বনির্ধারিত সুচির পর বাড়তি সময় না পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

আর অধ্যক্ষের এই কথা শুনেই নিজেদের আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম কংগ্রেসের বিধায়করা। কখনো অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে কাগজ ছোড়া, মেশ নিয়ে টানাটানি, টেবিলের উপর উঠে ভাষণ দেওয়ার মতো বিশ্রী ঘটনার সাক্ষী হয় এদিনের এই বিধানসভার অধিবেশন। পরবর্তীতে সদনে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে ওয়াক আউট করে সেই বিরোধীরা।

এদিকে এইভাবে অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভায় বিরোধীদের এই হৈ হট্টগোলের তুমুল সমালোচনা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “বিধানসভাকে ওনারা নোংরা করে দিয়ে চলে গেলেন। আমাদের সব সিদ্ধান্ত ওনাদের ভালো নাই লাগতে পারে। কিন্তু বিধানসভার সম্পত্তি রক্ষা ও সদনকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আশা করি আগামী দিনে ওনারা এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে বিরোধীদের এহেন আচরনকে অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিন তারা বলেন, “এই সরকার মানুষের যন্ত্রণার কথা শুনতেই চায় না। অধ্যক্ষ পুরোপুরি দলদাসের মতো আচরণ করছেন।” সব মিলিয়ে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়েও আলোচনা না হওয়ায় প্রবল উত্তেজনা ছড়াল রাজ্য বিধানসভায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!