এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চলতি মাসের শেষেই খেলা দেখাবেন শুভেন্দু! ফাপড়ে মমতা পুলিশ, কটাক্ষ বিজেপির!

চলতি মাসের শেষেই খেলা দেখাবেন শুভেন্দু! ফাপড়ে মমতা পুলিশ, কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপির এমনিতেই ছোট, ছোট জেলার কর্মসূচিতেই অনুমতি দেয় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশ। তার মধ্যে কলকাতায় সমস্ত বঞ্চিতদের নিয়ে এসে বিজেপি যে সভা করার প্রস্তুতি নিয়েছিল, সেখানে যে এরা অনুমতির অ টুকুও দেবে না, তা আগেভাগেই ধরে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মত পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না পেয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়। তৃণমূল কংগ্রেস যেমন তাদের বাৎসরিক প্রোগ্রাম 21 জুলাই ধর্মতলায় করে, সেই রকম ভাবেই বিজেপি তাদের কর্মসূচি করতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরকে কি শর্ত দেবে আদালত, কত লোক আনা যাবে, সেটা আদালতের ব্যাপার। কিন্তু দিনের শেষে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, বিজেপি অবশেষে সভা করতে পারছে। পুলিশ দিয়ে তাকে আটকে দেওয়ার বহু চক্রান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে গেল আদালতের নির্দেশে। বড় জয় পেয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি চলতি মাসের শেষেই শক্তি প্রদর্শনের একটা জায়গা হিসেবে খাস কলকাতাকে পেয়ে যাওয়ায় তারা রীতিমতো উজ্জীবিত।

প্রসঙ্গত, আগামী 29 নভেম্বর বিজেপি ধর্মতলায় সভা করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ সেখানে অনুমতি দেয়নি। তাই আদালতে গিয়ে বিজেপি সেই অনুমতি আদায় করে নিয়েছে। এদিন সেই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করায় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে কার্যত ধুয়ে দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূল যেমন 21 জুলাইয়ের প্রোগ্রাম করে, তেমনই আমাদের বেশ কিছু শর্ত হয়ত আদালত দেবে। কিন্তু আমরা সেখানে কর্মসূচি করতে পারব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে কর্মসূচি করতে দিতে হবে। বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারী অনেক দিন ধরেই বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, সেটা সর্বৈব্য মিথ্যা‌। বরঞ্চ সেই তৃণমূল সরকারের দ্বারা রাজ্যের প্রচুর মানুষ বঞ্চিত। তাই কারা প্রকৃত বঞ্চিত, তাদের নিয়ে সভা করে তৃণমূলকে শিক্ষা দেবে বিজেপি। কিন্তু তা আটকাতে দলদাস পুলিশের চেষ্টার শেষ ছিল না। কিন্তু সেখানেও তারা হেরে গেলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঞ্চনার নাটকটা ধরা পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তার পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতাও সামনে চলে এসেছে। বারবার আদালতে গিয়ে কানমোলা খাওয়ার পরেও এই সরকারের লজ্জা হয় না। ধর্মতলায় সভা করার ক্ষেত্রে আবার তারা হোঁচট খেলো। প্রমাণ হয়ে গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন দলতন্ত্রের গ্রাসে ডুবে রয়েছে। রাজ্যে আইন সবার জন্য সমান। পুলিশ শুধু তৃণমূলের জন্য, আর বিরোধীদের ক্ষেত্রে নয়, এটা হতে পারে না। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও, তাতে হেরে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, তার পুলিশকে দিয়ে কোনোভাবে বিজেপির এই কর্মসূচিতে আটকে দিতে। কারণ বিজেপির এই কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আনার পরিকল্পনা করেছে। চলতি মাসের শেষে তারা এমন এক কর্মসূচির প্ল্যান করেছে, যাতে নাস্তানাবুদ হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাদের ভাওতাবাজি সামনে চলে আসবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ধর্মতলার সভায়। তবে বিরোধীদের সব শেষ ভরসা হচ্ছে আদালত। শুভেন্দু অধিকারী নিশ্চিত ছিলেন যে, আদালতে গেলে তিনি এই কর্মসূচির অনুমতি আনতেই পারবেন। কিন্তু তাও পুলিশকে সম্মান দিয়ে তাদের কাছে অনুমতিটা চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেখানেও জঘন্যতা করার পর, অনুমতি না দেওয়ার পর চরম শিক্ষা দিয়ে, ফ্যাসিস্ট সরকারকে ধাক্কা দিয়ে সভা করার অনুমতি আদালত থেকে নিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!