এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন মমতা ব্যানার্জির প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত? কি বলছে তৃণমূল?

কেন মমতা ব্যানার্জির প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত? কি বলছে তৃণমূল?

2019 এ কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরানোর জন্য প্রথম বাংলা থেকেই সেই বিজেপি বিরোধিতার সুরকে চওড়া করেছিলেন তৃনমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিজেপি বিরোধীতাকে তীব্র করে সারাদেশে বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরিতেও সায় দিয়েছিলেন তিনি।

আগামী 19 শে জানুয়ারি দেশের সমস্ত বিরোধী দলকে নিয়ে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক ঐতিহাসিক জনসভার ডাক দিয়েছেন তৃনমূল নেত্রী। আর সেই জনসভাকে সার্থক করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় প্রচারসভায় গিয়ে সেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই 2019 এ কেন্দ্রের মসনদে বসানোর আহ্বান সাধারণ মানুষের কাছে রাখছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলে দেশবাসী ঠিক কি কি সুবিধা পাবে? আর দলের সর্বোচ্চ নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী করতে শাসক দলের নেতাকর্মীরাই সাধারণ মানুষের কাছে কী কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন? তৃণমূলের দাবি, 2011 সালে পালাবদলের পর রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই সাধারন মানুষদের জন্য বর্তমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা মাটি মানুষের সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা সারা দেশে রেকর্ড। আর এই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই 2019 এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রাখছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতাকর্মীরা।

তবে তৃণমূল নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য যে মূল পাঁচটি কারণের ওপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেগুলি হল- ১) কন্যাশ্রী প্রকল্প: ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের কন্যাদের স্বনির্ভর করে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। যা শুধু এই বাংলা নয় এখন গোটা দেশ তথা বিশ্বে সমাদৃত। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প দেখেই কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকার “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” প্রকল্প করেছে বলে দাবি রাজ্যের শাসক দলের। আর সেই দিক থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সরকার অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

২) সবুজ সাথী ও দু টাকা কিলো দরে চাল: ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের সাধারণ মানুষদের অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের সাধারণ মানুষের মুখে অন্নের যোগান দিতে সুষ্ঠ রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দু টাকা কিলো দরে চাল রাজ্যের মানুষদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মা মাটি মানুষের সরকার। পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যেতে যাতে কোনো রকম অসুবিধে না হয় সেজন্য সবুজসাথী প্রকল্প গড়ে সকলকে সাইকেলও দিচ্ছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। আর এই দু টাকা কিলো দরে চাল এবং সবুজ সাথীর মত প্রকল্পের জেরে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার প্রত্যন্ত মানুষের অনেকটাই সমর্থন পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা আগামী লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসলে দেশের সকর মানুষ এই সুবিধা পাবে বলে এখন থেকেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে শুরু করেছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণ হিসেবে রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা স্বাস্থ্যসাথী এবং ন্যায্য মূল্যের দোকানের মতো প্রকল্পকেও সামনের সারিতে রাখতে শুরু করেছেন।

৩) স্বাস্থ্য সাথী এবং ন্যায্য মূল্যের দোকান: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছেন বাংলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে দামী দামী ওষুধপত্রের খরচ যাতে সাধারণ মানুষকে দিতে না হয় সেজন্য যেমন তৈরি করেছেন ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প গড়ে চিকিৎসার খরচও অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই যুগান্তকারী পরিবর্তন দেশে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে কতটা উন্নতি হতে পারে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির। তবে শুধু উন্নয়ন প্রকল্পের নিরিখেই নয়, দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও নিজেদের দলনেত্রীকে এগিয়ে রাখছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা।

৪) দীর্ঘদিনের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে কাজ সামলানোর অভিজ্ঞতা: প্রসঙ্গত, বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে বহুবার কেন্দ্রের বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। এমনকি একসময় রাজ্যের দক্ষিণ কলকাতা থেকে একা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দিল্লির সংসদে তীব্র আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি। তাই রাজনীতির উত্থান পতন দেখা বাংলার টালির চালের বাসিন্দা এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে যে তিনি সুচারুভাবে দেশের দায়িত্ব নিয়ে এই দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারবেন সে বিষয়ে নিশ্চিত তৃনমূলের নেতা মন্ত্রীরা।

কিন্তু যেখানে 2019 এ কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে এই সমস্ত বিরোধীরা কার্যত একজোট হয়েছে, সেখানে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে অন্যান্য বিরোধীরা তা মানবে কেন! রাজনৈতিক মহলের তরফ থেকে যখন বিভিন্ন সময়ে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, ঠিক তখনই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতবর্ষের প্রতিটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য মুখ বলে দাবি করছেন তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনের ম্যানেজাররা।

সব মিলিয়ে এখন দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে অন্যান্য কারনের মধ্যে মূলত এই পাঁচটি কারণকে সামনে রেখেই বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে আওয়াজ তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!