আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে বড়সড় রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের, ঘুম উড়তে চলেছে রাজনৈতিক দলগুলির? জাতীয় রাজনীতি October 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে সঠিক সময়ে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। তবে করোনা ভাইরাস কিছুটা শিথিল হতেই সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, আগামী 3 নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের 28 টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এর মাঝেই মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের একটি রায় অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে। জানা গেছে, গত 20 তারিখ করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির কারণে জনসভা এবং জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তবে সোমবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ জারি করা হলেও, করোনা ভাইরাসকে নিয়ে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি যে সকলকে মেনে চলতে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই হাইকোর্টের রায়ের পর রাজনৈতিক দলগুলো অস্বস্তিতে পড়লেও, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাদের খুব একটা স্বস্তির দেখা মিলল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 20 অক্টোবর মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন নিয়ে একটি রায়দান করে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। যেখানে গোয়ালিয়র বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো প্রার্থী এবার জনসভা করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি ভাবেই প্রচার করা হবে। পাশাপাশি কোথাও যদি জেলাশাসকের অনুমতির ভিত্তিতে কোনো সভা হয়, তাহলে তাকে অনুমান করে আগেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের এই রায়ের পর নানা মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার করা বাধ্যতামূলক, সেখানে তারা যদি প্রচার করার সুযোগ না পায়, তাহলে তারা কিভাবে ভোট বৈতরণী পার হবে, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের সেই রায়ে জারি করা হয়েছে স্থগিতাদেশ। যার ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা দিতে শুরু করেছে। তবে অনেকে বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট অতীতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে করা রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলেও, এতে রাজনৈতিক দলগুলোর উজ্জীবিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ জারি করা হলেও, বারেবারে একটা জিনিস পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমিতির ব্যাপারে তৎপরতা অবলম্বন করলেও, তা কতটা করা সম্ভব হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। একাংশ বলছেন, ভার্চুয়ালি সভা সমিতি করার ব্যাপারে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই সেই নিয়ে যাতে বিতর্ক তৈরি না হয়, তার জন্য সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে সেই রায় স্থগিত করে দেওয়া হল। কিন্তু সাথে সাথে এটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হল যে, করোনা ভাইরাসকে সঙ্গী করে নিয়ে পথ চলতে গেলে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সব মিলিয়ে আগামীদিনে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো কতটা স্বাস্থ্যবিধি পালন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -