এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেলে গিয়েও শোধরাননি বালু? ইডির নামে চরম মিথ্যাচার! সোচ্চার বিরোধীরা!

জেলে গিয়েও শোধরাননি বালু? ইডির নামে চরম মিথ্যাচার! সোচ্চার বিরোধীরা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় 10 দিন ইডি হেফাজতে থাকার পরেও মিথ্যা কথা থেকে মুক্ত হতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আসলে মিথ্যা কথা বলাই যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে, তারা তো সবসময় তার মধ্যে ডুবে থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই বিরোধীরা বলছেন যে, ইডিকে নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবার যে মিথ্যাচার করলেন, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আজ রাজ্যের এই মন্ত্রীর ইডি হেফাজত শেষ হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মেই তাকে আদালতে তোলা হচ্ছে। তবে আদালতে যাওয়ার মুখেই তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সম্পর্কে এক মিথ্যাচার করেছেন। নিজে জামিন পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা সম্পর্কে যে কথা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী বলেছেন, তা নিয়ে ধিক্কার জানাচ্ছে বিরোধীরাও।

প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে যাওয়ার মুখে ইডি সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “এই 11 দিনে ইডি বুঝতে পেরেছে, আমি দোষী নই।” আর এখানেই প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সংস্থা যদি বুঝতেই পারে, তাহলে তো আজকে তারা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হেফাজত আর চাইবে না। তাকে তো মুক্ত করার জন্য যুক্তি দেবে। কিন্তু সেই পথে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পা বাড়াবে না, তারা যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেরা করে আরও বেশ কিছু তথ্য পেতে চাইছে, তা স্পষ্ট। ফলে নিজে জামিনে মুক্ত হওয়ার জন্য ইডির বিরুদ্ধে একটা খেলো কথা বাইরে বলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এই মিথ্যাচারের জন্য তাকে এবার প্রবল বিপদে পড়তে হতে পারে বলেও মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি, জেলে থাকার কি কষ্ট, তা বুঝতে পারছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এখন তিনি উপলব্ধি করছেন যে, এত দুর্নীতি না করলেই হয়ত ভালো হত। কিন্তু তিনি শুধু নন, তাকে পেছন থেকে যারা যারা দুর্নীতি করতে উৎসাহ দিয়েছেন, এবার তাদেরকেও ধরতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই তারা যখন চাপ দিচ্ছে, তখন সেই চাপের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে যাচ্ছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই কারণে আদালতে যাওয়ার মুখে তিনি নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে ইডির নামে একটা মিথ্যাচার করার চেষ্টা করেছেন, যাতে তিনি জামিন পেয়ে যান। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। তাকে এবার চরম সাজার মুখে পড়তে হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাকে দোষী ভেবেছে নাকি নির্দোষ, তা তো আদালতেই বোঝা যাবে। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কপালে যে চরম দুঃখ অপেক্ষা করছে, তা তিনি নিজেও উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এতদিন জেরায় যে সমস্ত প্রশ্ন তাকে ইডি করেছে, তাতে তিনি চরম চাপে, এটা স্পষ্ট। এটা দিনের আলোর মতো সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, আজকে আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হেফাজত চাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফলে তিনি কি করে এটা বললেন যে, কেন্দ্রীয় সংস্থা উপলব্ধি করেছে যে, তিনি নির্দোষ! কতটা বোধ বুদ্ধিহীন হলে এই ধরনের কথা বলা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। আর যদি তাই হত, তাহলে তো ইডি তাকে গ্রেফতারই করত না। আসলে কোনো একটা কথা বলতে হবে এবং নিজেকে নির্দোষ হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে হবে, তার কারণেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই ছেলে খেলা মূলক মন্তব্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!