এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার মন্ত্রী পদ যাবে জ্যোতিপ্রিয়র? বুধবারের বৈঠকেই বড় সিদ্ধান্ত! তুঙ্গে জল্পনা!

এবার মন্ত্রী পদ যাবে জ্যোতিপ্রিয়র? বুধবারের বৈঠকেই বড় সিদ্ধান্ত! তুঙ্গে জল্পনা!


Mamallik mallimallik

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্য জনকভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে মন্ত্রী পদ থেকে এবং দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে কেন এত সময় নিচ্ছে তৃণমূল, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। অনেকে আবার এটাও বলছেন যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে দুর্নীতি করেছেন, তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন তৃণমূলের একদম ওপর তলার নেতারা। সেই কারণেই তাকে যদি দল থেকে এবং মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি দলের বিরুদ্ধে বড় কোনো তথ্য ফাঁস করে দিতে পারেন। আর তাতে আখেরে দলীয় নেত্রী চাপে পড়বেন। তাই তার বিরুদ্ধে সেভাবে কোনো বড় পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের। তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে ঘরে বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। তাই এবার তাকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

সূত্রের খবর, আগামী বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর সেখানেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে মন্ত্রিসভা। অনেকে বলছেন, তাকে বনমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আবার অনেকে বলছেন, তাকে মন্ত্রী রেখে নিজেদের প্রতিবাদ জারি রাখতে পারে রাজ্য সরকার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে না দেয় রাজ্য, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের বদনাম হতে পারে। এমনিতেই বিরোধীরা এই সরকারকে চোর, চোর বলে আক্রমণ করছে। তার মধ্যে যদি গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও কেউ মন্ত্রী থাকে, তাহলে এই সরকারের চাপ আরও বাড়বে। তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জায়গায় কাকে বনমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়েও একটা চর্চা শুরু হয়েছে নবান্নের অন্দরে।

বিজেপির দাবি, মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়েও লাভের লাভ কিছু হবে না। এই রাজ্য সরকার চুরির সঙ্গে যুক্ত। মানুষের টাকা তারা লুট করেছে। হয়ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বনমন্ত্রী থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু এমন কোনো দপ্তর নেই, যেখানে চুরি হয় না। তাই ব্যক্তি বদল হলেও যারা চুরি করেছে, তারা ছাড়া পাবে না। প্রত্যেককেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকতে থাকতে জেরার মুখে বড় কোনো তথ্য দিয়ে দিতে পারেন। আর তখন চাপ এই রাজ্য সরকারের বলেই দাবি বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দিলে কেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সময় অন্যথা হবে, তা নিয়েও দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। তাই সবদিক থেকেই জেরবার হয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে এখন বাধ্য হয়েই আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দপ্তর নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে। নিজের মুখ বাচাতেই এবার তিনি রাজ্য মন্ত্রীসভায় বন দপ্তরে রদবদল করতে পারেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!