বড়সড় বিমান দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রাহুল গান্ধী, উঠল তদন্তের দাবি জাতীয় April 27, 2018 কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উড়ন্ত বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগের খবর প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে।কিন্তু কেন এমন বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হল কংগ্রেস সভাপতিকে? আসুন জেনে নেওয়া যাক্। রাজনৈতিক সূত্রের খবর বলছে,এদিন বিধানসভার ভোটের প্রচারে সকাল ৯ টা ২০ নাগাদ ছোট ফ্যালকন জেট বিমানে করে কর্ণাটকের হুবলি রওনা হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।রাহুল এর সঙ্গে ছিল আরো ৫ জন সদস্য। আবহাওয়া ভালো থাকা সত্ত্বেও পৌনে ১১ টা নাগাদ বিমানে গন্ডোগোল দেখা দেয়।জোরালো একটা শব্দের পর বিকল হয়ে যায় অটো পাইলট।হুহু করে নেমে আসে প্রায় চাঁর-পাঁচশো ফুট।২-৩ মিনিটের জন্য রেডার থেকেওও মুছে গেছিলে সেটি।চেষ্টা করেও নামা যাচ্ছিলো না হুবলি বিমানবন্দরে।শেষে তিনবারের চেষ্টায় জেট বিমানটিকে নির্বিঘ্নে হুবলি বিমানবন্দরে নামানো সম্ভব হয়েছে।এমটাই জানিয়েছেন, কংগ্রেস দলের মুখপাত্র রনদীপ সুরজেওয়ালা। কিন্তু কেন এমন হল? এ প্রসঙ্গে ডিজিসি জানিয়েছেন,’অটো-পাইলট’ ব্যবস্থায় সমস্যা হওয়ায় এমন হয়েছে।এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়।তবে ‘ম্যানুয়াল’ মোডে নিরাপদে অবতারণ করানো গেছে।তবে এ উওরে সন্তুষ্ট নন কংগ্রেস।এই বিভ্রান্তি ‘পরিকল্পিত ‘ কি না তা খতিয়ে দেখার দাবী তুলেছে কংগ্রেস।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং ফোনে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এ প্রসঙ্গে সুরজেওয়ালা বলেন,”এসপিজি-র নিরাপত্তা পাওয়া কোনও ব্যক্তির উড়ানের আগে পাইলট এবং বিমান সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়া হয় ডিজিসিএ এবং এসপিজি-র কাছে। তারা ছাড়পত্র দিলেই উড়ান পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। আমাদের আশা, কর্নাটক পুলিশ এবং ডিজিসিএ-র ডিজিরা তদন্ত করে জানাবেন, এই ঘটনায় কোনও ব্যক্তির হাত ছিল কি না।”ডিজিসিএ জানিয়েছে যে যে কোনো ভিআইপি বিমানের মতো রাহুলের বিমানও তাঁরা পরীক্ষা করে দেখবে।রাহুল কর্নাটকে একদিন থাকবেন দলের ইস্তাহার প্রকাশের জন্যে। ওদিকে রাহুল এর সহযোগী কৌশল বিদ্যার্থী কর্নাটকের ডিজি ও আইজির কাছে লিখিত অভিযোগ বলেছেন,এমন কোনো ঘটনা প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের কারণে হয়েছে,যার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।কৌশলের বক্তব্য,সকলের প্রাণ যেতে যেতে বেঁচেছে।রাহুল আগাগোড়াই পাইলটের পাশে ধৈর্য রেখে ছিলেন পরিস্থিতির সামাল দিতে।অন্যদিকে বিজেপিশিবির বিষয়টির স্পর্শকাতরতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।শুধু কয়েজকন বিজেপি নেতার মতে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা তা ভাবা দরকার।কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য,”এর আগে গাঁধী পরিবারে এ ভাবে প্রাণ গিয়েছে। রাহুলের প্রাণনাশের কোনও চেষ্টা হয়েছিল কি না, তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।” আপনার মতামত জানান -