প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নতুন বাজেটে বিলগ্নীকরন থেকে আয়ের উপর গত বছরের তুলনায় কিছুটা রাস টেনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২০২০-২১ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকার বিলগ্নীকরণ থেকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল। চলতি বাজেটে সে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা করা হলো। তাই বিলগ্নিকরণে কিছুটা রাস টেনেছে কেন্দ্র, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তবে, একটু তলিয়ে দেখেই বোঝা যাবে যে, বিষয়টি তা নয়।

প্রসঙ্গত, এবারের বাজেটে বিলগ্নীকরণ এর মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন যে, গতবছর বড় বিলগ্নিকরনের বিশেষ যোজনা নেয়া হয়েছিল। যেখানে এলআইসির শেয়ার বিক্রির বিষয়টিও সামনে আসে। গতবছরের যোজনা এবছর পূরণ করা হতে পারে। এবছর বিলগ্নীকরণ এর লক্ষ্য পূরণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার দুটি পিএসইউ ব্যাংক ও একটি ইন্সুরেন্স সংস্থা সহ সরকারি ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন যে, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, বিসিপিএল, শিপিং কর্পোরেশন, কনটেনার কর্পোরেশন, নীলাঞ্চল ইস্পাত নিগম লিমিটেড সহ বেশকিছু সংস্থার অংশীদারিত্ব চলতি বছর বিক্রি করা হবে। আগামী ১ লা এপ্রিল থেকে যা শুরু হতে চলেছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের আয় বাড়াতে তথা রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ দীর্ঘ সময় ধরেই গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে, এবারের বাজেটে নতুন পাবলিক সেক্টর এন্টার প্রাইজেস পলিসিকে বিশেষ অনুমতি দেয়া হলো। এরফলে বেসরকারিকরণ বেড়ে যেতে পারে। যার দ্বারা চলতি বছর বেসরকারিকরণের দ্বারা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয়া হলেও বিলগ্নীকরণ বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা বিলগ্নীকরণ থেকে আয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৮০ হাজার কোটি টাকা বিলগ্নীকরণ থেকে আয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। গত ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল বিলগ্নীকরণ থেকে। তবে গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এবছর তা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।