এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অমিত শাহের সভার পরেই দ্বন্দ্ব ভুলে চাঙ্গা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি! গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল

অমিত শাহের সভার পরেই দ্বন্দ্ব ভুলে চাঙ্গা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি! গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল


লকডাউনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে সম্প্রতি অনলাইনের ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সর্বভারতীয় বিজেপি চাণক্য অমিত শাহ বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া মাত্রই, এবার থেকে তেতেফুড়ে ময়দানে নামার উদ্যোগ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির।

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টা আসন দখল করার পরেও, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ অস্বস্তিতে ফেলে দেয় দলকে। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার মত জেলায় বিজেপি অত্যন্ত ভালো ফল করলেও, নেতাকর্মীদের এক ছাতার তলায় আনা ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে অমিত শাহ দলকে বার্তা দেওয়ার পরেই এবার পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলা বিজেপি নেতৃত্ব গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে ময়দানে নামতে উদ্যোগী হয়েছে।

জানা যায়, এদিন ভিডিও কনফারেন্সের পরেই বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র দলের মন্ডল সভাপতিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। যেখানে আগামী 15 জুন থেকে বাড়ি বাড়ি তৈরি করার কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “অমিতজির জনসভাকে সফল করতে আমরা মাঠে নেমেছিলাম। লক্ষ্য ছিল যে এক লক্ষ মানুষকে ভার্চুয়াল সভায় আনব। হিসাব বলছে, প্রায় 5 লক্ষ মানুষের কাছে আমরা পৌঁছতে পেরেছি। মনোবল বেড়েছে।”

তবে গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে গুরুত্ব দেননি বিবেকানন্দবাবু। তিনি বলেন, “আমাদের দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। গণতান্ত্রিক দলের কর্মীদের নিজের মতামত তুলে ধরার অধিকার রয়েছে। এটা ফিরে তাকানোর সময় নয়। অমিতজির বক্তব্যে কর্মীরা বুঝেছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই রাজ্যে জয়লাভ বড় চ্যালেঞ্জ। সকলে একজোট হয়ে লড়াই করছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষকে দূরে রেখে এখন কর্মীদের কাজ করার বার্তা দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন, “অমিতজির সভা গোটা জেলায় আমাদের নেতাকর্মীদের এক সূত্রে বেধে দিয়েছে।” এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার পুরুলিয়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল আলীম আনসারি বলেন, “এই সভা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে সাধারন মানুষ সেই সভা শুনেছেন।” তবে সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন কারণে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

কিন্তু অমিত শাহর সভার পড়ে সেই গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বিজেপি যেভাবে উদ্যোগী হয়েছে, তাতে তারা অনেকটাই ফলপ্রসূ ফল পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা তৃণমূলের মত যদি তাদের দলেও গোষ্ঠী কোন্দল তৈরি হয়, তাহলে ক্ষমতায় আসা তো দূর অস্ত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কতটা ভালো করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভায় দলের নেতাকর্মীদের পরিবর্তনের জন্য এখন থেকেই লড়াই করার বার্তা দেওয়ার সাথে সাথেই বিজেপির সকলে একজোট হতে শুরু করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বা বিজেপি পরিবর্তনের জন্য এখন থেকে একত্রিত হয়ে ময়দানে নামলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “লোকসভায় কিছু মানুষ ভুল বুঝে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। জেলায় সাংগঠনিক ক্ষমতা বিজেপির নেই। আগামী দিনেও থাকবে না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “ভার্চুয়াল সভা করে কিছু হবে না। রাজ্যের মানুষ জানেন, কোন দল তাদের সঙ্গে রয়েছে। কর্মীদের ধরে রাখতে বিজেপি সব করছে। তাতে লাভ নেই। সব জায়গায় এখন বিজেপি ছেড়ে মানুষ তৃণমূলে আসছেন।”

সব মিলিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল সভা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করা হলেও, বিজেপি এবার নিজেদের ঘর গোছাতে সবথেকে বেশি মনোযোগী হয়েছে। যা সঠিকভাবে করতে পারলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা অনেকটাই ভালো ফল করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!